'অগ্নিপথ' প্রকল্প প্রত্যাহার করুক মোদী সরকার। এই দাবিতে বিরোধীরা এককাট্টা। এমনকী, কৃষক আন্দোলনকারীরাও পথে নেমে পড়েছেন। আন্দোলনের হিংসাত্মক পরিস্থিতি গত কয়েকদিনের মত নেই। তবে, বিক্ষোভ সর্বত্র চলছে। রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যেই বিক্ষোভের রাশ হাতে নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলগুলো 'অগ্নিপথ' প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছে। রাস্তায় নেমে চলছে আন্দোলন।
সরকার অবশ্য পিছু হঠতে নারাজ। বিক্ষোভকারীদের ইতিমধ্যে শক্ত হাতে দমন করা হয়েছে। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা ধরা পড়েছে, তাঁদের আর অগ্নিপথ প্রকল্পে চাকরি হবে না। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে সেনার মত শৃঙ্খলাপরায়ণ বাহিনীতে কাজ করা যায় না। শুধু একথা বলাই নয়। 'অগ্নিপথ' বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
তবুও দেশের জনসাধারণের মনে 'অগ্নিপথ' প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর, সেই প্রশ্ন যাতে ফের ক্ষোভ পুঞ্জীভূত না-করে, সেই জন্য কাজ করে চলেছে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই শীর্ষস্তরের সেনাকর্তাদের দিয়ে বলানো হয়েছে যে 'অগ্নিপথ' অত্যন্ত সুচিন্তিত প্রকল্প। এই প্রকল্প প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই। এবার মোদী সরকার এগিয়ে দিল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে রুদ্ধশ্বাস অভিযানে সেনা, লুকনো ডেরায় গিয়ে খুঁজে খুঁজে মারা হল জঙ্গিদের
তিনিও এবার স্পষ্ট জানালেন, 'অগ্নিপথ' প্রকল্প প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই। এটা অত্যন্ত সুচিন্তিত প্রকল্প। এনিয়ে কোনও হিংসাত্মক প্রতিবাদ হলে, তা বরদাস্ত করা হবে না। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে দোভাল বলেন, 'প্রকল্প প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই। এই প্রকল্পের সিদ্ধান্ত আচমকা এবং রাতারাতি নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যখন সকলে মনে করেছেন, এই প্রকল্প গ্রহণ জরুরি, তখনই তা নেওয়া হয়েছে। কারও ঝুঁকি নিতে ইচ্ছা ছিল না। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মত একজন নেতার দরকার ছিল। যিনি বলতে পারেন যে যদি এই প্রকল্পে দেশের ভালো হয়। দেশ শক্তিশালী হয়। তাহলে যে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি। তা তাতে যতই মূল্য দিতে হোক না-কেন।'
Read full story in English