করোনায় লকডাউনে জেরে রেলপথে গড়াচ্ছে না ট্রেনের চাকা। আগামী দিনে রেলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য় এ সময়কেই বেছে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে পীযূষ গোয়েল দেখিয়েছেন যে রেলের উন্নতিসাধনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য় তাঁরা লকডাউনের সময়টা কাজে লাগাচ্ছেন না। মন্ত্রীর বার্তার পরই রাতারাতি রেলের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১৯টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছে মন্ত্রক। রেলের উন্নতিসাধনে এই ১৯টি ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করল ভারতীয় রেল
ট্রেনের গতি বৃদ্ধি, উচ্চ গতির জন্য় রেলপথ কেমন হবে, ট্রেনের নির্দিষ্ট গন্তব্য়ে পৌঁছোনের সময় কমানো, সিসিটিভি নজরদারি বাড়ানো-সহ একাধিক বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রকের এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ''রেলমন্ত্রক ওইদিকগুলো চিহ্নিত করেছে। যেগুলির উপর কাজ করার কথা নোডাল অফিসারদের। এজন্য় প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন কো-অর্ডিনেটিং অফিসাররা''।
একটা ট্রেন তার গন্তব্য়ে পৌঁছে সেখান থেকে পরবর্তী যাত্রার জন্য় কতটা সময় নিচ্ছে, সেটাই এখন রেলের অন্য়তম প্রধান অ্য়াজেন্ডা। জানা গিয়েছে, রেলে সিসিটিভি নজরদারিতে জোর দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। ওয়ার্কশপ, হাসপাতাল, স্টেশন, অফিস-সহ সর্বস্তরে সিসিটিভি নজরদারিতে জোর দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে, শুক্রবার দ্য় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ''আমাদের বলা হয়েছে, যেহেতু এখন যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে না, তাই এটাই উপযুক্ত সময় এই বিষয়গুলি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার''।
এদিকে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এই মাধ্যমকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দ্বিমত। লকডাউন উঠলে যাত্রীদের জন্য নতুন ভ্রমণ বিধিনিষেধ চালু করা হতে পারে, খবরে উঠে আসা এমন বিবৃতি অস্বীকার করল ভারতীয় রেল। বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, “এই বিষয়টি আমরা সকলের কাছে জানাচ্ছি যে রিপোর্টে যা লেখা ছিল তা ভ্রান্ত। রেলমন্ত্রকের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।”
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন