কোভিড পরবর্তী কালে শিশু পাচারের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাচারের শীর্ষে থাকা রাজ্যগুলি হল উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ। দিল্লিতেও কোভিড পরবর্তীতে শিশু পাচারের হার উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রবিবার বিশ্ব মানব পাচার বিরোধী দিবস পলক্ষে প্রকাশিত এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে দেশে শিশু পাচার কোভিড পরবর্তীতে রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং অন্ধ্র প্রদেশ হল শীর্ষ তিনটি রাজ্য যেখানে ২০১৬- ২০২২ সালের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক শিশু পাচার হয়েছে। পাশাপাশি যেখানে দিল্লিতে কোভিড-পরবর্তী সময়ে শিশুপাচারের হার ৬৮ শতাংশ বেড়েছে। শিশু পাচারের শীর্ষ জেলা হিসাবে উঠে এসেছে জয়পুর।
এই সময়ের মধ্যে, ১৮ বছরের কম বয়সী ১৩,৫৪৯ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া শিশুদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বয়স ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। প্রতিবেদনে সেই শিল্পগুলোর ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে যেখানে শিশুশ্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হোটেল এবং ধাবায় সর্বাধিক সংখ্যক শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে (১৫.৬ শতাংশ), এরপর অটোমোবাইল বা পরিবহন শিল্প (১৩ শতাংশ), এবং গার্মেন্টস (১১.১৮ শতাংশ)। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ থেকে আট বছর বয়সী শিশুদের প্রসাধনী শিল্পে নিয়োগের বিষয়েও তথ্য মিলেছে। সমীক্ষা অনুসারে উত্তর প্রদেশ মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
২০১৬-২০১৯ সালের মধ্যে রাজ্যে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২৬৭। সেখানে ২০২১-২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১৪-এ। একইভাবে, কর্ণাটটে ১৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে শিশুপাচার। প্রাক কোভিড কালে সংখ্যাটা ছিল ৬ সেখানে কোভিড পরবর্তীতে তা বেড়ে হয়েছে ১১০। এই উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান সত্ত্বেও, প্রতিবেদনটি গত এক দশকে সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয় অবস্থানের ইতিবাচক প্রভাবও তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে শিশু পাচারকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য একটি ব্যাপক পাচার বিরোধী আইনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।