বেতন নিয়ে আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে বুধবার নতুন পথ নিলেন ব্রিটেনের নার্সরা। কয়েক হাজার নার্স গণহারে পদত্যাগ করেছেন। যাতে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল আরও বেহাল হয়ে উঠেছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের প্রায় এক-চতুর্থাংশ হাসপাতালে ধর্মঘট পালন করবেন নার্সরা। ১২ ঘণ্টা ধরে ধর্মঘট চলবে। তাতে এমারজেন্সি বিভাগ এবং ক্যানসার পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও ক্লিনিক বা ওপিডির পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে এবং হবে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত কয়েক হাজার নার্স পদত্যাগ করায় শিকেয় উঠেছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য পরিষেবা।
তবে শুধু নার্সরাই নন। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ব্রিটেনের বিভিন্ন পেশার মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। নার্সদের পাশাপাশি এই আন্দোলনে রয়েছেন অ্যাম্বুল্যান্স সেবক, ট্রেনচালক, বিমানবন্দরের ব্যাগ পরীক্ষক, সীমান্তের সেনাকর্মী, গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষক, বাস ড্রাইভার, ডাককর্মীরা চরম ব্যয় সংকটে পড়েছেন। আর, উচ্চ বেতনের দাবিতে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। গত অক্টোবরে ব্রিটেনে মুদ্রাস্ফীতি ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সীমা ১১.১ শতাংশ স্পর্শ করেছে। এর ফলে জ্বালানির খরচ পেয়েছে। খাবারের দাম বেড়েছে। তবে, ডিসেম্বরে কিছুটা হলেও মুদ্রাস্ফীতি কমে হয়েছে ১০.৫ শতাংশ।
এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনে নার্সদের ইউনিয়ন মুদ্রাস্ফীতির ওপর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে অবশ্য বিষয়টি আলোচনাসাপেক্ষ বলে তারা সুরও নরম করেছে। তবে, নার্সদের এই বেতন বৃদ্ধির দাবি মানতে নারাজ ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল দলের ব্রিটিশ সরকার। বদলে সরকার বলেছে, দাবি মেনে প্রায় দ্বিগুণ অঙ্কের বেতন যদি সরকারি কার্যালয়গুলো বৃদ্ধি করে, তবে ব্রিটেনের মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন- পেনশন প্রকল্পের ব্যাপারে রাজ্যগুলোকে সতর্ক করছে আরবিআই, কিন্তু কেন?
ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসচিব স্টিভ বার্কলে জানিয়েছেন, 'মাত্রাতিরিক্তি বেতন বৃদ্ধির ফলে রোগীর পরিষেবা নেওয়ার ক্ষমতা কমবে। পাশাপাশি, এই বেতন বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতিকে রুখতে ব্যর্ত হবে ব্রিটেনবাসী। তার ফলে দারিদ্র আরও বাড়বে।' আসলে, সুনাকের সরকার একটি বিল এনেই ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করেছে। সেই বিলে ইউনিয়নগুলোর প্রতিবাদের ভাষা হরণ করতে চেয়েছে সুনাকের সরকার। এমনটাই অভিযোগ ব্রিটেনবাসীর।
Read full story in English