ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। ধীরে ধীরে চলছে সবকিছু স্বভাবিক করার প্রয়াস। ইতিমধ্যেই যাত্রা শুরু করেছে করমন্ডল এক্সপ্রেস। কিন্তু এখনও দুর্ঘটনার স্মৃতি আঁকড়ে লাশঘরে পড়ে ৮২ টি দেহ। দাবিহীন দেহগুলিকে নিয়ে এবার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে ওড়িশা সরকার। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও বলেছে ওড়িশা সরকার। আলোচনা হয়েছে যাতে সংরক্ষিত চশনাক্তকরণ এবং দাহ প্রক্রিয়া দ্রুত করা যায় তা নিয়েও।
ভুবনেশ্বর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) কমিশনার বিজয় অমরুতা কুলাঙ্গে বলেছেন, "আমরা দাবিহীন দেহগুলি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার জন্য অন্যান্য রাজ্য সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সমন্বয় রাখছি।" তিনি আরও বলেন, ‘ BMC রেলওয়ে এবং AIIMS ভুবনেশ্বরের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার কাজ করে চলেছে’।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ের আধিকারিকদের মৃতদেহ শনাক্তকরণে সাহায্য’র অনুরোধ করা হয়েছে । পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের সহায়তার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। একই সঙ্গে মৃতদেহ নিতে আসা পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার ও থাকার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বিএমসির তরফে।
আরও পড়ুন: < মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি আগলে লাশঘরে পড়ে দাবিহীন ৮২ দেহ >
AIIMS ভুবনেশ্বর জানিয়েছে যে ইনস্টিটিউটে সংরক্ষিত ১৬২ টি মৃতদেহের মধ্যে ৮০টি মৃতদেহ ইতিমধ্যেই পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকী ৮২টি দাবিহীন মৃতদেহ এখনও মর্গে রয়ে গিয়েছে।
হাসপাতালের তরফ জানানো হয়েছে কিছু মৃতদেহের দাবিদার আবার একাধিক পরিবার তাই, ডিএনএ স্যাম্পলিং টেস্টিং প্রক্রিয়া চলছে। হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা প্রায় ৫০টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছি। ২৯টি নমুনা দিল্লি AIIMS-এ পাঠানো হয়েছিল এবং এর পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে আরও দু দিন সময় লাগবে”।
এদিকে, কুচবিহারের বাসিন্দা শ্রীকন্দ দে অভিযোগ করেছেন যে তার ছেলের মৃতদেহ বিহারের একটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। "আধিকারিকরা আমাকে ডিএনএ পরীক্ষা করতে বলেছিলেন এবং আমি তা করেছি। কিন্তু, ডিএনএ রিপোর্ট আসার আগেই দেহ অন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে," ।