/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/police-2.jpg)
মন্দির সংস্কারের জন্য চাহিদা ছিল ৫০০ টাকা। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করেছিলেন ওডিশার ৩২ বছর বয়সী এক দলিত ব্যক্তি। এরপরই চরম মাসুল গুণতে হল তাঁকে। শাস্তি হিসাবে, পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয়দের সামনেই ওই ব্যক্তিকে নিজের থুথুতে নাক ঘষতে বাদ্য করা হয়।
ঘটনাটি ১৭ এপ্রিলের। কেন্দ্রপাড়া জেলার তিখিরি গ্রামে ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত বুধবার ওই দলিত ব্যক্তির স্ত্রী রেখা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রেখার দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় পঞ্চায়েত প্রধান চামেলি ওঝা মন্দির সংস্কার এবং মন্দিরে একটি নতুন মূর্তি স্থাপনের জন্য অনুদান চেয়ে তাঁদের বাড়িতে যান। অনুদান বাবদ ৫০০ টাকা দাবি করেন। রেখারর স্বামী অবশ্য টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। কারণ মন্দিরের সংস্কারের জন্য অনুদান সে আগেই দান করেছিলেন। অভিযোগকারিণীর দাবি, পঞ্চায়েত প্রধান ওই দম্পতিকে গালিগালাজও করেছিলেন।
এরপরই, ১৭ এপ্রিল গ্রামেই একটি সালিশি সভা বলে। মন্দির সংস্কারে অনুদান দিতে অস্বীকার করার জন্য গ্রামবাসীদের ওই দলিত ওইযুবকের পরিবারকে বয়কট করতে বলা হয়। রেখা তাঁর অভিযোগে বলেছেন, পঞ্চায়েত প্রধানের আর্জি না মানার শাস্তি হিসেবে ওই দলিত ব্যক্তিকে তাঁর নিজের থুতুতে নাক ঘষতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান চামেলি ওঝা। তাঁর দাবি, 'পুলিশ মামলাটির তদন্ত করতে পারে, সমস্ত অভিযোগ অসত্য। এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।'
পুলিশ চামেলি ওঝা এবং অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৪৩ (বেআইনি সমাবেশের সদস্য হওয়া), ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখার শাস্তি), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৫০৪ (কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করা) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় প্রদর্শন) এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে। এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের অভিযোগ আনা হয়।
মারসাঘাই থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার পি কে কানুনগো বলেছেন, 'পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
Read in English