সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এমন বড় ট্রেন দুর্ঘটনা আগে দেখেনি দেশ। এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনার পর প্রায় দু'দিন কাটতে চললেও এখনও যাত্রীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি। ২ হাজারেরও বেশি কর্মী উদ্ধার অভিযানে সামিল রয়েছেন। ওডিশার বালাসোরের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যায় যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে তার রেশ যেন এখনও রয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৮৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারা গিয়েছে। ১১০০-এরও বেশি যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গত দুই দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং একটি পণ্যবাহী ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া ১১০০-রও বেশি যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০০ জন এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন- আহতদের চিকিৎসায় খামতি না-রাখার আশ্বাস মোদীর, রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি অভিষেক-বাঘেলদের
শনিবার গভীর রাতেও দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দলের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সার্চলাইটের ব্যবহারে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে NDRFএ-র কর্মীদের বগি কাটতে দেখা গিয়েছে। গ্যাস কাটার ব্যবহার করে কোচের স্তূপের উপর বারবার দেখা হচ্ছে। যদি ভিতরে কেউ থাকে - জীবিত বা মৃত - যাঁদের এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তাঁরা রাতভর কাজ চালিয়ে গিয়েছেন।
ওডিশা ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু সারঙ্গি উজ্জারকাজের তদারকিতে রয়েছেন। দ্য সানডে এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার উদ্ধার কাজে আরও গতি আনতে এবং সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য যে ব্যবস্থা করেছে তার জন্যই উদ্ধার অভিযান সফলভাবে করা গিয়েছে। আমাদের অগ্রাধিকার ছিল জীবিত সবাইকে উদ্ধার করা এবং তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এরপর আমরা মরদেহ উদ্ধারের কাজ শুরু করি। আমাদের পক্ষ থেকে প্রায় ২৫০ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং ODRAF-এর ১২০ জন সদস্যকে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।”