/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/cats-281.jpg)
রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপ। তার মধ্যেই শনিবার ফের রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে ইউক্রেনের রাজধানীর বুকে। সকালে ক্ষেপণাস্ত্রটি কিয়েভের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আঘাত করে। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভবনটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ডিনিপ্রোভস্কি জেলায় বিস্ফোরণটি ঘটেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আধিকারিকরা এমনটাই জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁরা সকালের দিকে বিমান হানার সাইরেনের শব্দ শুনতে পান। তারপরই জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিলো টাইমোশেঙ্কো জানিয়েছেন, জরুরি প্রয়োজনের জন্য তৈরি ওই ভবন। সেখানেই হামলা হয়েছে। কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। খতিয়ে দেখার পরই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিস্তারিত জানানো হবে বলেই টাইমোশেঙ্কো জানিয়েছেন। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো লিখেছেন, 'ডিনিপ্রোভস্কি জেলায় বিস্ফোরণটি ঘটেছে। ফের হামলা হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় থেকে বের হতে মানা করা হয়েছে।'
ক্লিটসকো জানিয়েছেন ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ধ্বংসাবশেষ কিয়েভের পশ্চিমে হলোসিভস্কি জেলার অনাবাসিক এলাকায় পড়েছে। এতে কোনও হতাহতের খবর নেই। গত অক্টোবর থেকেই রাশিয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের অত্যাবশ্যক পরিষেবার প্রতিষ্ঠানগুলোয় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তার ফলে প্রবল ঠান্ডার মধ্যে ইউক্রেনবাসীর কাছে গরম জল পৌঁছে দিতে পারছে না প্রশাসন। শনিবার যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে, তারও লক্ষ্য ছিল অত্যাবশ্যক পরিষেবা।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে মামলা: অপ্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম মেয়ে কি বয়ঃসন্ধির পর বিয়ে করতে পারে?
প্রায় একবছর ধরে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এর ফলে গোটা ইউক্রেনই কার্যত ধ্বংসস্তূপের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে অন্যান্য কাজকর্ম প্রায় বন্ধের মুখে। এই লড়াইকে দীর্ঘ সময়ের জন্য রাশিয়া টিকিয়ে রাখছে। বাধ্য হয়ে ইউক্রেনবাসী ইউরোপ এবং আমেরিকার আর্থিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে রয়েছেন। বহু বাসিন্দাই ইউক্রেন ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন। অন্য দেশে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য়ে হয়েছেন। সেখানে তাঁরা ত্রাণশিবিরে দিন কাটাচ্ছেন। তাতেও চাপ বাড়ছে ইউরোপ এবং আমেরিকার ওপরে। এই পরিস্থিতিতে মানবতার খাতিরেও হামলা বন্ধ করছে না রাশিয়া।
Read full story in English