জন নিরাপত্তা আইনে ওমর আবদুল্লাকে বন্দি করেছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর বোন সারা আবদুল্লা পাইলট। আজ সেই মামলারই শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। অবিলম্বে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া হোক, গত সোমবারই শীর্ষ আদালতে এই আবেদন করেছেন সারা।
Advertisment
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি মোহন এম সান্তানাগৌদার ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে এদিন ওমরের বোন সারার আবেদনের শুনানি হবে। সারা আবদুল্লা পাইলটের অভিযোগ যে, তাঁর দাদাকে জন নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করায় আসলে বাক স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই ধরণের পদক্ষেপ আসলে ‘সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে ধারাবাহিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ’। তাঁর দাবি, ‘আটক হওয়ার আগে আমার ভাই যে বিবৃতি দিয়েছেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ পোস্ট করেছেন, তাতে বার বার শান্তি ও সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে জন নিরাপত্তার ক্ষতি হওয়া সম্ভব নয়।’
৪৯ বছর বয়সী ওমরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে অসন্তোষ জানিয়েছেন অনেকে। সরকার একটি নথিতে বলা হয়েছে, ‘জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের দাপট যখন চরমে, তখনও ওমর বিপুল ভোট পেয়েছেন।’ পরে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রাক্তন বাণিজ্য ও বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মানুষকে প্রভাবিত করতে পারেন।’
সোমবারই আইনজীবী কপিল সিবাল সারার আবেদনের দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালতে। হেভিয়াস করপাস আবেদন করার চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন সিবাল।
প্রসঙ্গত, জনসুরক্ষা আইনের গত ছ’মাস ধরে বন্দি রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি। এই আইনে কোনও বিচার না করেই কাউকে তিন মাস পর্যন্ত আটক করে রাখা যায়। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বলে জম্মু-কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ সুযোগ-সুবিধা গত বছর ৫ অগাস্টপ্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকা। রাজ্যটিকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখনই প্রাক্তন ওই তিন জন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বহু রাজনীতিককে আটক অথবা গ্রেফতার করা হয়েছিল।