জন সুরক্ষা আইনেই আটক ওমর আবদুল্লা ও মেহেবুবা মুফতি: অমিত শাহ
বিভ্রান্তি বাড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। সোমবার ইন্ডিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, 'ওমর আবদুল্লা ও মুফতিকে জন সুরক্ষা আইনে আটক করা হয়েছে।'
গত দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে আটক জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর ও ফারুক আবদুল্লা। কোন ধারায় তাদের আটকে রাখা হয়েছে? জানা গিয়েছিল জন সুরক্ষা আইনে তাঁদের আটকে রাখা হয়। পরে অবশ্য সেই দাবি থেকে সরে আসে প্রশাসন। কিন্তু, বিভ্রান্তি বাড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। সোমবার ইন্ডিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, 'ওঁদের জন সুরক্ষা আইনে আটক করা হয়েছে।' কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবি নিজেদের ট্যুইউটার অ্যাকাউন্টেও পোস্ট করেছে বিজেপি।
Advertisment
গত ৫ই অগাস্ট উপত্যকায় ৩৭০ ধারা রদ করে কেন্দ্র। বিরোধিতায় সরব হয় কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি। তারপরই ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে আটক করা হয়। বলা হয় জন সুরক্ষা আইনে তাদের গ্রেফতার করেছে প্রশাসন। পরে একই ধারায় আটক করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লাকে। জনসুরক্ষা আইনের দরুণ প্রশাসন তাদের ন্যূনতম ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে।
ভূস্বর্গের এই তিন নেতার আটক প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, '৩৭০ ধারা রদের পরই বিরোধিতা শুরু হয়েছিল। ফলে অশান্তি এড়াতেই এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে।' তাঁর সংযোজন, 'প্রায় চার হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। প্রায় হাজর জন একনও জেলবন্দি। পাথর ছোঁড়ার অপরাধে আটশ জন জেলে রয়েছে।' অমিত শাহেরর মতে, ৩৭০ ধারা জন্যই কাশ্মীরজুড়ে এতদিন খুনখুনি হয়েছে। তাই এই ধারা রদ করা হয়েছে। কিন্তু এর পরও অশান্তির আশঙ্কা ছিল। যা দূক করতেই জন সুরক্ষা আইনের প্রয়োগ। প্রাণ যাওয়ার চেয়ে এই পদক্ষেপ কার্যকরী হয়েছে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কাশ্মীরে চালু হয়েছে মোবাইলল পরিষেবা। বিধিনিষেধও শিথিল হচ্ছে পর্যায়ক্রমে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ক্রমশ স্বাভাবিকের পথে কাশ্মীর।