করোনার পজিটিভিটি রেটে দেশের মধ্যে শিখর ছুঁয়েছে বাংলা। ওমিক্রন আক্রান্তের নিরিখেও উদ্বেগ বাড়ছে। রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যানেরর বিচারে বর্তমানে মহারাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তবে স্বস্তির খবর যে, গত চারদিনে দিল্লিতে নতুন করে কোনও ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের হার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চিন্তার কারণ। তৃতীয় ঢেউতেও একই অবস্থা। কোভিডের নয়া প্রজাতির প্রকোপের ক্ষেত্রেও এখনও শীর্ষে দেশের পশ্চিমে আরব সাগরের পারের এই রাজ্য। অন্যদিকে পূর্বপ্রান্তের রাজ্য বাংলা তালিকায় দ্বিতীয়। সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ১,৭৩৮ জন। পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যা ১,৬৭২ জন। এরপরই রয়েছে, রাজস্থান (১,২৭৬ জন)।
গোটা ভারতে ওমিক্রনে কাবু ৮,২০৯ জন।
আরও পড়ুন- দৈনিক সংক্রমণ কমলেও উদ্বেগ কাটছে না, করোনায় মৃত্যুহার নিয়ে নয়া আতঙ্ক
তবে, গত চারদিন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ না পেলেও রবিবার রাজধানীতে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৮,২৮৬ জন। প্রাণ গিয়েছে ২৮ জনের। ফলে স্বস্তির মাঝেই দিল্লিতে আস্বস্তির কারণ দৈনিক কোভিডের হার।
ডিসেম্বরে করোনারভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতির হদিশের পর তার প্রভাব বেশি দেখা যায় মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে। ওমিক্রমের হানা রোধে ডিসেম্বরের শেষে, দিল্লিতে সব করোনা পজিটিভ রোগীদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স করানো বাধ্যতামূলক করা হয়।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, নববর্ষের সপ্তাহান্তে করোনা পজিটিভ নমুনার ৮১ শতাংশই ওমিক্রন প্রজাতির ছিল।
কম ওমিক্রন সংখ্যা সত্ত্বেও, দিল্লিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নতুন করে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজধানীতে করোনা পরীক্ষা করা চারজনের মধ্যে একজন (২৫ শতাংশের উপরে) আক্রান্ত।
নতুন আইসিএমআর নির্দেশিকাগুলির ফলে উপসর্গবিহীন ব্যক্তিদের চাহিদা অনুযায়ী পরীক্ষা করা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কম কেস শনাক্ত হয়েছে। নতুন নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে যে শুধুমাত্র উচ্চ-ঝুঁকির পরিচিতি পরীক্ষা করা হবে।
Read in English