করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই, এমনই মনে করেন AIIMS-এর প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে AIIMS প্রধান জানিয়েছেন, করোনার এই নয়া স্ট্রেন অত্যন্ত সংক্রামক। দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ে। সরাসরি ফুসফুসে না হলেও এটি শ্বাসযন্ত্রের উপরের অংশে এবং শ্বাসনালীতে প্রভাব ফেলে। তবে এক্ষেত্রে যাঁদের কোমর্বিডিটি নেই তাঁদের অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ওমিক্রন সংক্রামিত হলে কিছুদিন নিজেকে আলাদা রাখার পরামর্শ AIIMS প্রধানের।
করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। গোটা বিশ্বে কাঁপুনি ধরিয়েছে করোনার এই নয়া প্রজাতির ভাইরাস। এদেশেও বেড়েই চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও ওমিক্রনের প্রভাব ডেল্টার মতো মারাত্মক হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
AIIMS-এর প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ''ওমিক্রন ফুসফুসের পরিবর্তে উপরের শ্বাস নালীর অংশ এবং শ্বাসনালীকে প্রভাবিত করছে। সেই কারণেই অক্সিজেন স্যাচুরেশনে ড্রপ বা ডেল্টার মতো অন্যান্য গুরুতর লক্ষণগুলি দেখা যাচ্ছে না। এখন জ্বর, নাক দিয়ে জল পড়া, গলা ব্যাথা এবং শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা এবং মাথা ব্যাথার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। যদি এই উপসর্গগুলির মধ্যে কোনোটি থাকে তবে নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা করান। কারণ নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে না পারলে আপনার থেকেই অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।''
আরও পড়ুন- বছরের প্রথম দিনেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বৈষ্ণদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১২
এদিকে শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১২৭০ জনের ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁদের মধ্যে ৩৭৪ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। AIIMS-এর প্রধান জানিয়েছেন, ওমিক্রনের প্রভাব অতটা গুরুতর নয়। সেই কারণেই অযথা আতঙ্কের কারণ নেই।
তিনি বলেছেন, ''প্যানিক করার প্রয়োজন নেই। গতবারের মতো করোনার নতুন রূপটি অক্সিজেন স্যাচুরেশনে বড়সড় পতন ঘটায় না, এটা বুঝুন। অতএব যাঁদের কোমর্বিডিটি নেই তাদের ফোকাস হোম আইসোলেশনে থাকা উচিত। অযথা হাসপাতালের বেড আটকে রাখবেন না। ওমিক্রন আক্রান্ত হলে দ্রুত সুস্থও হবেন। ভয় পাবেন না। সতর্ক থাকুন।''
Read full story in English