কমেছে সংক্রমণ। সুস্থতার পথে দেশ। খুলেছে স্কুল কলেজ। নিউ নর্মালের পথে হাঁটতে শুরু করেছি আমরা। যদিও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলে যে কোন মুহূর্তেই বাড়তে পারে সংক্রমণ এমনও আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। তবে রেকর্ড টিকাকরণ এবং সার্বিক করোনা বিধি আমাদের আজকের একটা সন্তোষজনক পরিস্থিতিতে দাঁড় করিয়েছে। কিছুদিন আগেই বিএমসির তরফে জানান হয়েছিল মুম্বইয়ে মোট মৃতের ৯৫ শতাংশের শরীরেই মিলেছে ওমিক্রন এবার দিল্লির পরিসংখ্যানও কপালে চিন্তার ভাজ ফেলেছে।
তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে এই বছর ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দিল্লিতে যত মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশের শরীরেই ওমিক্রনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে মোট ২৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সেখানে দেখা গেছে ১৯১ জনের শরীরেই ওমিক্রনের উপস্থিতি ছিল। তথ্য অনুসারে, সামগ্রিকভাবে, এই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ৬২৬টি নমুনার মধ্যে ৯২ শতাংশে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। যদিও সরকারি তথ্য অনুসারে জানানো হয়েছে মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ কোমর্বিডিটিতে আক্রান্ত ছিলেন।
এদিকে রাজধানীতে কোভিডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যাওয়ার কারণে দিল্লি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ) শুক্রবার এই বৈঠকের পর দিল্লিতে নাইট কারফিউ সহ সমস্ত কোভিড-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং আগামী ১লা এপ্রিল থেকে স্কুলগুলিতে অফলাইন ক্লাস পুনরায় শুরু হবে এবং মাস্ক না পরার জন্য জরিমানা ২হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে