কাঁপুনি ধরাচ্ছে করোনা। নতুন বছর শুরুর ঠিক মুখে আতঙ্ক চরমে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ভয় বাড়িয়েছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। রাজধানীতে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁর কথায়, ''দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্ত এমন বেশ কয়েকজনের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। সুতরাং, ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতি ধীরে ধীরে গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়াতে শুরু করেছে।''
বৃহস্পতিবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ১১৫টি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৪৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দিল্লিতেই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৬৩। দিল্লির পরেই ওমিক্রন আক্রান্ত প্রভাবিত রাজ্যগুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। মারাঠাভূমে ইতিমধ্যেই ওমিক্রনে কাবু ২৫২ জন।
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ল? উত্তরটা এখনই জানা না গেলেও ইঙ্গিত কিন্তু স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার একলাফে ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। গতকালের চেয়ে এক ধাক্কায় দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার। দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের দাপট। এখনও পর্যন্ত রাজধানী দিল্লিতেই সর্বাধিক ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতির হদিশ সর্বপ্রথম মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ধীরে ধীরে তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অত্যন্ত সংক্রামক করোনার এই নয়া প্রজাতির ভাইরাস উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯৬১।
আরও পড়ুন- আছড়ে পড়ল তৃতীয় ঢেউ? দেশে একদিনে ১৩ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত
এদিকে, সার্বিকভাবেই ফের একবার দিল্লির করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নিতে শুরু করেছে। গতকালও ন’শোর বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরের ৩০ মে-র পর থেকে সংক্রমিতের এই সংখ্যা দিল্লিতে সর্বাধিক। বর্তমানে দিল্লিতে করোনা পজিটিভিটি রেট ১.২৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে দিল্লির সরকার। তবে বিধি-নিষেধ আরোপ হলেও এখনই পরিযায়ী শ্রমিকদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছেন দিল্লি সরকারের এক কর্তা। তিনি জানিয়েছেন, সরকার এমন কোনও বিধি-নিষেধ চাপাবে না যাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের মনে কোনও আতঙ্ক তৈরি হয়।
Read full story in English