আশঙ্কা ছিলই। এবার তা সত্যি প্রমাণিত হল। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলির মত ভারতেও করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। আর এই খবরে সিল মোহির দেওয়া হয়েছে খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
ইতিমধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পর দেখা যাচ্ছে রাজধানী দিল্লির ৫০ শতাংশ করোনা আক্রান্তই ওমিক্রন পজিটিভ। এদের মধ্যে অনেকেরই বিদেশ যাত্রার রেকর্ড নেই। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন। মুম্বইয়েও পরিস্থিতি একই। মুম্বইয়ে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বাণিজ্যনগরীতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। অনেক রাজ্যেই বাড়ানো হয়েছে বিধিনিষেধ। কিন্তু এসব করে সংক্রমণ রোখা যাবে কি? সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে একটাই স্বস্তি! ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ ডেল্টার থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সরকারিভাবেও ভারতে করোনার সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছেন “আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট আসতে অনেক সময় ৫-৮ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। এই ঝঞ্ঝাট এড়াতে RAT টেস্টের দিকে জোর দেওয়া হোক।”
ইতিমধ্যেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডেল্টার থেকেও ওমিক্রন ৫ গুন বেশি সংক্রামক। সুতরাং প্রাকৃতিক নিয়মেই ডেল্টাকে কোণঠাসা করে ফেলেছে করোনার এই নয়া অবতার। ফুরিন ক্লিভেজের দু’টি ও স্পাইক প্রোটিনের ৩২টি-সহ মোট ৫২টি জায়গায় মিউটেশন হয়েছে ওমিক্রনের। এই ভোলবদলের ফলেই ওমিক্রন আগের তুলনায় বেশি সংক্রামক হয়ে উঠেছে। যার প্রভাব ইতিমধ্যেই সরাসরি দেখা যাচ্ছে রাজধানী দিল্লি, মুম্বই-সহ বেশ কিছু শহরে।
সেই সঙ্গে বঙ্গে পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে সংক্রমণ। ফ্রান্স, আমেরিকা বা ব্রিটেনে এই মুহূর্তে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। বঙ্গেও দৈনিক সংক্রমণ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যাতে করে রাতের ঘুম ছুটেছে সকলের। তার মাঝেই উৎসবের সবটুকু আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করতে গিয়ে বাংলায় হুহু করে বেড়েছে সংক্রমণ। তবে ডেল্টার থেকে সংক্রামক হলেও নয়া ভ্যারিয়েন্টের মারণ ক্ষমতা ডেল্টার থেকে কিছুটা কম। এটাই স্বস্তি। আগামী দিনে সংক্রমণ বাড়লেও, মৃত্যু কিছুটা হলেও কমতে পারে মন বিশেষজ্ঞদের।
Read full story in English