দেশজুড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডব। সংক্রমণের সুনামি ভারতে। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ক্রীড়া সব মহলেই মারণ ভাইরাসের হানা। বাদ যাচ্ছেন না কেউ-ই। এবার ভয় ধরিয়ে করোনায় আক্রান্ত সংসদের ৪০০ জন কর্মচারী। একসঙ্গে এতজনের সংক্রমণে দফতরের কাজকর্ম ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে করতে হচ্ছে। কর্মীদের উপস্থিতির উপরও রাশ টানা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবারই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যেই সংসদ থেকে দুঃসংবাদ। বাজেট অধিবেশনের আগে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সরকারি ও ঠিকা সংস্থার অন্তত ৪০০ কর্মী করোনায় আক্রান্ত। গত কয়েকদিনে করোনায় ছারখার পার্লামেন্ট। যার ফলে কর্মীদের উপস্থিতির উপর রাশ টানা হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যসভার ৬৫ জন কর্মী, লোকসভার ২০০ জন কর্মী এবং অন্যান্য সহযোগী দফতরের ১৩৩ জন কর্মীর করোনা। গত ৪-৮ জানুয়ারির মধ্যে এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে সংসদে। এমনিতেই রাজধানী দিল্লিতে ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। ফলে সংসদে সংক্রমণের ছড়াছড়ি হয়েছে। বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে ব্যস্ততা তুঙ্গে থাকে সংসদে। তবে সেই কাজে ধাক্কা দিয়েছে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত।
এদিকে, জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউন জারি নয়, রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এদিন বলেন, ”করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কয়েকটি পদক্ষেপ করতে চায় সরকার। তবে সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়বে এমন কোনও কাজ করবে না সরকার।”
আরও পড়ুন বেলাগাম সংক্রমণ, একদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার
চলতি মাসের শুরুতে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন। চলতি মাসের ৪ তারিখ করোনা আক্রান্ত হন কেজরি। বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এদিন টুইটে তিনি লিখেছেন, ”করোনামুক্ত হওয়ার পর ফের কাজে যোগ দিলাম।” শনিবারই দিল্লির দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গতকাল দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার ১৮১ জন।