টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই জারি। করোনা যুদ্ধে জয়ের পথে ভারত। প্রতিদিন কমছে সংক্রমণ। সুস্থ হচ্ছে দেশ। রাজ্যে-রাজ্যে উঠছে বিধি নিষেধ। করোনার আঁধার পেরিয়ে ফের একবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। দেশে রোজই কমেছে সংক্রমণ। সেই সঙ্গে আলোর দিশা খুঁজে পাচ্ছেন ১৩৮ কোটি ভারতবাসী। তবে কী শেষ হতে চলেছে মহামারির? এখন এই প্রশ্নই কেবল মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে আপামোর ভারতবাসীর। এর সঙ্গেই নতুন করে এল সুসংবাদ। ওমিক্রনের উপপ্রজাতি ভারতে গুরুতর প্রভাব বিস্তার করছে না। এমন তথ্য সামনে আসতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস!
AIIMS-নয়াদিল্লি, লোক নায়ক হাসপাতাল, IGIMS-পাটনা, NIBMG-কলকাতা, CMC-ভেলোর, গান্ধী মেডিকেল কলেজ-সেকেন্দ্রাবাদ, সংক্রামক রোগের জন্য কস্তুরবা হাসপাতাল-মুম্বাই এবং বি জে মেডিকেল কলেজ-পুনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি এই গবেষণায় অংশ নিয়েছে। গবেষনার ফলাফল দেখায় ওমিক্রনের তুলনায় বেশি প্রভাব বিস্তার করছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট এমন কোন তথ্য গবেষণায় উঠে আসেনি।উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়েছে একটি হাসপাতালে মোট ৮৬ জন ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৫ জনের। যারা মারা গেছেন সকলেই কোমর্বিডিটিতে আক্রান্ত বলেও দেখায় গবেষণা। সেই সঙ্গে গবেষণায় টিকার ব্যবহার এবং যাবতীয় কোভিড প্রটোকলের ওপর জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত সারা দেশে ১৭৫.৪৬ কোটির বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১.৭৯ কোটি বুস্টার ডোজ। সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা সংখ্যাও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৮লক্ষ ৩১ হাজার ৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এপর্যন্ত দেশে মোট ৭৬ কোটির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতিকে নতুন করে করোনা বিস্তারের জন্য দায়ী করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। WHO জানিয়েছে ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্যে সহ একাধিক দেশে এই প্রজাতি এখনও তাণ্ডব চালাচ্ছে। যদিও এব্যাপারে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ডিরেক্টর ডাঃ সুজিত সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন বিএ১ এবং বিএ২ এই দুটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে তেমন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য চোখে পড়েনি। আমরা দেখতে পাচ্ছি কীভাবে দেশে রোজই কমছে দৈনিক সংক্রমণ সেই সঙ্গে বেড়েছে সুস্থতার হারও সুতরাং ওমিক্রনে উপপ্রজাতি যে ভয়ানক একথা আরা বলতে পারিনা’।
গত কয়েকদিনের মতোই লাগাতার নিম্নমুখী দেশের দৈনিক সংক্রমণ। এদিন সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪০৫ জন। যা গত কালের তুলনায় প্রায় তিন হাজার কম। সংক্রমণ হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.২৪ শতাংশে। দেশে মোট অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যাও অনেকটা কমেছে। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৮.৩৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ২২৬ জন। ভারতে মোট করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪কোটি ২১লক্ষ ৫৮ হাজার ৫১০ জন।