'সুরক্ষার প্রশ্নে ভারত আর দুর্বল নয়, জাতীয়তাবাদের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। দেশের গৌরব সবার উপরে।' রবিবার এই মন্তব্য করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা রয়েছে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে চিনা বাহিনী ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ। জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্নে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এদিন তারও জবাব দেন রাজনাথ সিং। জানিয়েছেন, সমস্যা সমাধানে দু'দেশের সেনা ও কূটনীতিক পর্যায়ে আলোচনা এগোচ্ছে। এ নিয়ে কোনও ধোঁয়াশা রাখা হবে না।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এদিন 'জম্মু-কাশ্মীর জন সংবাদ র্যালি'-তে ভাষণ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, 'কোনও পরিস্থিতিতেই জাতীয় গর্বের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। ভারত আজ আর দুর্বল রাষ্ট্র নয়। আমাদের শক্তি কয়েক গুণ বেড়েছে। জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্নে দেশ এখন পোক্ত। কিন্তু, মনে রাখতে হবে অন্যের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য নয়, দেশের সুরক্ষার স্বার্থেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে।'
जम्मू-कश्मीर के भाजपा कार्यकर्ताओं को ‘जनसंवाद रैली’ के माध्यम से सम्बोधित कर रहा हूँ। हमसे जुड़िए https://t.co/GbeRopWaMo
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) June 14, 2020
ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, 'আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ সমাধানে আগ্রহী চিন। ইতিমধ্যেই সেনা ও কূটনীতিস্তরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে কেন্দ্র করে বিরোধ মেটানোর প্রয়াস শুরু হয়েছে।'
ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করছে চিন। অথচ কেন্দ্র নীরব। কি পদক্ষেপ করা হয়েছে তা নিয়েও বিরোধীদের কিছুই জানানো হচ্ছে না। অভিযোগ করেছে কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবির। এ বিষয়ে প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, 'কেউ ধোঁয়াশার মধ্যে থাকবেন না। সঠিক সময়ে সংসদে সব জানানো হবে।'
'কাশ্মীরিয়ত, ইনসানিয়াত ও জামুরিয়াত' নীতির মাধ্যমেই জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের পথ দেখিয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিবারী বাজপয়ী। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, 'বাজপেয়ীজি নেই, কিন্তু তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেই উপত্যকা সমস্যার সুরাহা মিলবে। কাশ্মীরিয়তের মাধ্যমেই আমরা হাজরাতবাল ও অমরনাথ দেখেছি।'
৩৭০ ধারা নিয়ে এদিন কংগ্রেসকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি রাজনাথ। তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ইচ্ছে করে কাশ্মীর সমস্যা জিইয়ে রাখার অভিযোগ তোলেন। তাঁর কথায়, 'আগে এখানে কাশ্মীরি আজাদি স্লোগান শোনা যেত। পাকিস্তান ও আইএস-এর পতাকা দেখা যেত। এখন এখানে শুধু ভারতের পতাকা দেখা যায়।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন