ভারতীয় যুবককে প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে রুশ সেনাবাহিনীতে যোগদান এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাস্টার মাইন্ড বিজেপি নেতার ছেলে? তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বিরাট জালিয়াতি ও ভিসার অপব্যবহার সংক্রান্ত একটি মামলাতে নাম জুড়ল বিজেপি কাউন্সিলরের ছেলের। ভারতীয় যুবকদের রুশ সেনাতে প্রলোভন দেখিয়ে যোগদান করানো এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের পাঠানো নিয়ে সরগরম আন্তর্জাতিক শিবির। এবার এই মামলায় নাম জড়াল বিজেপি কাউন্সিলর অনিতা মুকুটের ছেলে সুয়াশ মুকুটের নাম।
ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত চালাছে সিবিআই। রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের ধারের কাউন্সিলর অনিতা মুকুটের ছেলে সুয়াশ মুকুট এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত। তবে আপাতত এ বিষয়ে সুয়াশ মুকুটের কোনো মন্তব্য বা তার মায়ের বক্তব্য সামনে আসেনি। সূত্রের খবর মুকুট পরিবার মূলত ইন্দোরের বাসিন্দা এবং বর্তমানে তারা ধারে থাকেন। যেখানে সুয়াশের বাবা রমাকান্ত মুকুট স্থানীয় হাসপাতালে একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসাবে কর্মরত। এই তার বক্তব্য জানতে চাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিজেপি ধর জেলা সভাপতি মনোজ সোমানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে তিনি মিডিয়া রিপোর্ট থেকে অনিতা মুকুটের ছেলের বিরুদ্ধে সিবিআই মামলার কথা জানতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন- গত বছর আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন তিনি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ছিলেন। আমি শুধু বলব আইনকে আইনের পথে চলতে দিন।
সুয়শ মুকুটের এক্স হ্যান্ডেলের বায়োতে লেখা আছে যে তিনি RAS ও ভারসিজ সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান এবং প্রতিষ্ঠাতা। এই প্রতিষ্ঠান ভারতীয় শিক্ষার্থীদের রাশিয়ায় ব্যাচেলর অফ মেডিসিন, ব্যাচেলর অফ সার্জারি (এমবিবিএস) মেডিকেল স্টাডিতে ভর্তি করতে সাহায্য করে।
তদন্তে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এমন একটি নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছেন যারা চাকরির প্রলোভনে ভারতীয় যুবককের রাশিয়ায় নিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং সেখানে সেনাবাহিনীর হয়ে (ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে) লড়াই করতে বাধ্য করে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই ১৮০ জন ভারতীয় যুবককে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে তাদের বেশিরভাগকেই স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে সেদেশে পাঠানো হয়েছিল।
সুয়্যাশ মুকুটের আরএএস ওভারসিজ ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ১৮০ জনকে রাশিয়ায় পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে। যাদের বেশিরভাগকে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে সেদেশে পাঠানো হয়েছিল। সিবিআই এফআইআর অনুসারে, সূত্র জানিয়েছে দূতাবাসের কর্মচারীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।