সভ্যতা থেকে ২০ কিমি দূরে প্রান্তিক আদিবাসী গ্রাম থেকে এসওএস। বিপদ বুঝেই খরস্রোতা টপকে, পাহাড় চড়ে মেডিক্যাল টিম পৌঁছল গ্রামে। চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে হল ৩০ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট। যাঁদের মধ্যে ৭ জন কোভিড আক্রান্ত। কেরলের পালাক্কড় জেলার সাম্প্রতিক এই ঘটনায় ফের প্রশংসিত দক্ষিণের সে রাজ্যের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
Advertisment
জানা গিয়েছে, পালাক্কড়ের আট্টাপাদির ২০ কিমি ভিতর থেকে পুথুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে খবর এসে পৌঁছয় গ্রামের এক পরিবারের তিন জন জ্বরে ভুগছেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবন্ধকতা সঙ্গী করে টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে রওয়ানা দেয় ৪ সদস্যের মেডিক্যাল দল।
কোনওভাবে তাঁরা গাড়ি নিয়ে ভবানীপুঝা নদীর তীর পর্যন্ত পৌঁছয়। যেহেতু এরপর আর গাড়ি যাওয়ার রাস্তা নেই। পদব্রজে হাঁটা শুরু করে ওই মেডিক্যাল টিম। পায়ে হেঁটেই পেরোয় খরস্রোতা নদী। এখানেই শেষ নয়। রবিবার দুপুরের ৮ কিমি আট্টাপাডি জঙ্গলের ভিতর পাহাড়ের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে রবিবার দুপুরে সেই গ্রামে পৌঁছয় ওই দল। ৩০ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয় সন্দেহজনক ৩০ জনের। তাঁদের মধ্যে ৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় পুথুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
এই কীর্তি স্থাপনের জন্য কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেই মেডিক্যাল দলকে ফোন করে শাবাশি দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন চিকিৎসক সুনীল বাসু-সহ চিকিৎসক সুকন্যা, চিকিৎসক শাজি এবং তাঁদের গাড়ির চালক সাজেশ। সূত্রের খবর, করোনা প্রতিরোধে কেরল সরকার গত এক বছর ধরে প্রান্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থায় একাধিক বদল এনেছে। পুথুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র তার নিদর্শন।
এই পরিকাঠামো বিষয়ে জেলার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য বলেছেন, ‘পুথুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ৬৭টি গ্রাম। তাই এই পরিবেশে হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালের নির্ভরতা কমাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির ভাবনা। পুথুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আপাতত ১২০টি করোনা বেড রয়েছে।‘
আদিবাসী এবং প্রান্তিক গ্রাম হলেও বিপদঘণ্টি শুনে স্বাস্থ্য দফতরের এই তৎপরতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন আদিবাসী নেতারা।