গত কয়েক দিনে একের পর এক বলিউড অভিনেত্রী ডিপফেকের শিকার। রশ্মিকা মান্দান্না থেকে শুরু করে ক্যাটরিনা কাইফ সকলেরই ডিপফেক ভিডিও সামনে এসেছে। যাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ণ পড়ে যায়। এবার প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে চিন্তার ভাঁজ প্রধানমন্ত্রী মোদীর কপালে। তিনি বলেন, 'প্রযুক্তির এই অপব্যবহার গভীর উদ্বেগের বিষয়', আমি নিজের এমন অজস্র ভিডিও দেখেছি'। পাশাপাশি এনিয়ে মিডিয়াকে সাধারণ মানুষকে ডিপফেক সম্পর্কে সচেতন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
সম্প্রতি, ডিপফেক এআই-এর ছবি-ভিডিও সামনে আসার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দিল্লিতে বিজেপির 'দিওয়ালি মিলন' অনুষ্ঠানের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'ডিপফেকগুলি ভারতের মুখোমুখি সবচেয়ে বড় হুমকিগুলির মধ্যে একটি, যা সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে৷' প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বিষয়ে মিডিয়াকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডিপফেকস সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি ডিপফেক ভিডিওও সামনে আসে। মোদী বলেন, “সম্প্রতি আমি একটি ভিডিও দেখেছি যেখানে আমাকে গান হাইতে দেখা যাচ্ছে। যারা আমাকে পছন্দ করেন, তারা এই ভিডিও আমায় ফরোয়ার্ড করেছেন।”
মোদী প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে জোরালো সওয়াল করে বলেন, 'এআই-এর কারণে এক সামাজিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই সংকট সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়।' সম্প্রতি অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দান্নার একটি ডিপফেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে যায়। এবিষয়ে অমিতাভ বচ্চন টুইট করে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। একই সময়ে, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকার, বলিউড অভিনেত্রী কাজলেরও ডিপফেক ভিডিও সামনে আসে। এরপরই প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে সরব হন সমাজের একটা বড় অংশের মানুষ। সাইবার এক্সপার্টরাও ডিপফেক টেকনোলজি নিজে বারে বারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছেন।