/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/10/cats-164.jpg)
বিগত আট বছর ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপনে সামিল হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিগত আট বছর ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তখন থেকেই এই একই প্রথা চলে আসছে। গতকাল তিনি দিওয়ালির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অযোধ্যায় ছিলেন। আজ সকালে কিছুক্ষণ আগে পাওয়া তথ্য অনুসারে যে প্রধানমন্ত্রী এবারও দিওয়ালি উদযাপন করবেন ভারতীয় সেনাবাহীনির সঙ্গে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী কার্গিলের দ্রাস সেক্টরে পৌঁছেছেন এবং এখানেই তিনি সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করবেন। এর আগে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে এভাবেই দিওয়ালি উদযাপন করেছেন তিনি।
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত দেশের প্রতিটি কোণায় পালিত হচ্ছে আলোর উৎসব। করোনার পর এই প্রথম একসঙ্গে আলোর উৎসবে মাতোয়ারা দেশবাসী। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণের পর থেকে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করছেন। আজ সকালে দিওয়ালি উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরের দ্রাস সেক্টরে পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি সেনা জওয়ানদের সঙ্গে উৎ্সবের আনন্দ ভাগ করে নেবেন।
Prime Minister Shri @narendramodi has landed in Kargil, where he will celebrate Diwali with our brave soldiers. pic.twitter.com/RQxanDEgDK
— PMO India (@PMOIndia) October 24, 2022
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়ে তিনি প্রথম দিওয়ালি উদযাপনে সিয়াচেনে যান। সেখানে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় মোদী প্রথমে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। সেনাকর্মীদের মিষ্টি মুখ করান তিনি। এরপর ২০১৫ সালে, তিনি পাকিস্তান সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন তিনি। পাঞ্জাব সীমান্তে মোদী সেই অনুষ্ঠান উদযাপন করেছিলেন। এর পরে, ২০১৬ সালে হিমাচল প্রদেশে সেনাকর্মীদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন মোদী। ২০১৭ সালে, জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোরায় দায়িত্বরত বিএসএফ এবং সেনা কর্মীদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৮ সালে, প্রধানমন্ত্রী মোদী দিওয়ালি উদযাপনের জন্য উত্তরাখণ্ডকে বেছে নিয়েছিলেন। সেবার তিনি উত্তরকাশীতে ITBP-এর সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন তিনি। ২০১৯ সালে, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে এবং ২০২০ সালে রাজস্থানের জয়সলমীরে সেনাবাহীনির সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন অনুষ্ঠানে সামিল হন মোদী। ২০২১ সালে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জম্মু ও কাশ্মীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল এলাকা নওশেরা পৌঁছান । সেখানে গিয়ে মোদী সেনাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন। এবারও সেই রীতি বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রী কার্গিলের দ্রাস সেক্টরে পৌঁছেছেন। সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপনে সামিল হবে তিনি।
দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আলোর উৎসব। উৎসবকে কেন্দ্র করে সর্বত্র খুশির আমেজ। দীপাবলি উপলক্ষে দেশবাসিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ একাধিক নেতা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি ট্যুইট বার্তায় লিখেছেন, "সমস্ত দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাই! আলো ও উদ্দীপনার এই পবিত্র উৎসবে আসুন জ্ঞান ও শক্তির প্রদীপ জ্বালিয়ে দরিদ্র মানুষের জীবনে সুখ-শান্তি নিয়ে আসার চেষ্টা করি। এই মহান উৎসবে আমি সকল দেশবাসীর সুখ ও সমৃদ্ধির প্রার্থনা করি”।
सभी देशवासियों को दीवाली की हार्दिक शुभकामनाएं! प्रकाश और उमंग के इस पवित्र त्योहार पर, हम ज्ञान और ऊर्जा के दीपक को प्रज्ज्वलित करते हुए जरूरतमंद लोगों के जीवन में भी खुशियां लाने का प्रयास करें। मैं इस महापर्व पर सभी देशवासियों के जीवन में सुख-समृद्धि के लिए प्रार्थना करती हूं।
— President of India (@rashtrapatibhvn) October 24, 2022
দীপাবলির অভিনন্দন জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "আপনাদের সবাইকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাই। আলোর এই উৎসব সবার জীবনে সুখ ও সুস্বাস্থ্য নিয়ে আসুক।"
दीपावली की आप सभी को ढेरों शुभकामनाएं। प्रकाश का यह पर्व हर किसी के जीवन में खुशियां और उत्तम स्वास्थ्य लेकर आए।
— Narendra Modi (@narendramodi) October 24, 2022
শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি টুইট করে বলেন, "সমস্ত দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা। আলোর এই উৎসব সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ, স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি।"