তেলেঙ্গানার বন্যাবিধ্বস্ত শহরগুলো পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিনি পরিবারপিছু ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এই টাকা তাদেরই দেওয়া হবে, যাঁরা রাজ্য সরকারের ত্রাণশিবিরে আছেন। একইসঙ্গে চন্দ্রশেখর রাও জানান যে কাদেম বাঁধ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বন্যার কারণ হিসেবে মেঘভাঙা বৃষ্টিকেই দায়ী করা হয়েছে। যার পিছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলেই চন্দ্রশেখর রাওয়ের অভিযোগ।
ভদ্রাচলমের আশপাশের অঞ্চলে আকাশপথে পরিদর্শনেরও কথা ছিল চন্দ্রশেখর রাওয়ের। কিন্তু, তিনি প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেওয়ার কথা জানান। চন্দ্রশেখর রাওয়ের অভিযোগ, বিদেশি শক্তি ভারতের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই কারণে এই মেঘভাঙার ব্যবস্থা করেছে। যার জেরে তেলেঙ্গানার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দু'কূল ছাপিয়ে বইছে গোদাবরী নদী।
চন্দ্রশেখর রাও বলেন, ' গোদাবরী অঞ্চলে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এসব মেঘ বিস্ফোরণ বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রে ঘটেছে বলেই জানা যাচ্ছে। তারা প্রথমে লেহ-লাদাখে, তারপর উত্তরাখণ্ডে এবং এখন গোদাবরী অঞ্চলে মেঘে বিস্ফোরণ ঘটাল। দেশের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার জন্যই মেঘ ফাটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।'
আরও পড়ুন- শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের, ভারতের হস্তক্ষেপ চায় DMK-AIADMK
ভাদ্রাদ্রি কোথাগুডেম জেলার ভদ্রচালামে ভারী বর্ষণ এবং প্রবাহের ফলে গোদাবরীতে জলের স্তর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের বিশাল জলস্তর এবং বন্যা শেষবার ১৯৮৬ সালে দেখা গিয়েছিল। আশার কথা একটাই, শনিবার থেকে জলস্তর কমতে শুরু করেছে। তেলেঙ্গানা সরকার ইতিমধ্যে বন্যাবিধ্বস্ত কয়েক হাজার মানুষকে ত্রাণশিবিরে স্থানান্তরিত করেছে।
ত্রাণশিবিরে গিয়ে রাও বন্যাবিধ্বস্তদের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি, উঁচু অঞ্চলে ত্রাণশিবির তৈরির জন্য তিনি ১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে বন্যাদুর্গতদের স্থানান্তরিত করা হবে। তিনি ত্রাণশিবিরে থাকাকালীন বন্যাদুর্গতদের অবিলম্বে ত্রাণ হিসেবে পরিবারপিছু ১০,০০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি, পরিবারপিছু বিনামূল্যে চাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
Read full story in English