২০২০-র দিল্লি সংঘর্ষের মুল অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করল দিল্লির এক আদালত। গত বছর ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে এই সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লি। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৫০ জনের বেশি। এদিন সেই মামলার শুনানিতে মূল অভিযুক্ত শাহ আলমের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক বিনোদ যাদব। সেই সংঘর্ষে ১৯ বছরের এক তরুণের গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহ আলমকে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে সন্দেহপ্রকাশ করে এই জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। কারণ ঘটনার দিন অভিযোগকারী পুলিশে অভিযোগ জানায়নি। এখানেই প্রত্যক্ষদর্শীদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অই বিচারক।
আদালত বলেছে, 'জখম প্রিন্স বনশল ২ মার্চ, ২০২০-তে করা সেই অভিযোগে প্রত্যক্ষ কারও নাম উল্লেখ করেনি। তদন্তকারীদের হাতে থাকা সিসিটিভি বা ভিডিও ক্লিপে অভিযুক্তকে দেখাও যায়নি। ফলে তদন্তাকারীদের তরফে দাখিল করা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ঘিরে সন্দেহ থাকছেই। দুই প্রত্যক্ষদর্শী কুলদীপ বনশাল এবং নরেন্দ্র বনশলের বয়ান গ্রাহ্য হল না। কারণ দাবি প্রেক্ষিতে কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও যুক্তি খাড়া করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা।' কেনই বা ঘটনার দিন ১০০-তে ফোন করে পুলিশকে গুলি চালানোর বিষয়ে অবগত করা হয়নি? সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক বিনোদ যাদব।
এমনকি, এই ঘটনার অপর দুই প্রত্যক্ষদর্শী দিল্লি পুলিশের দুই কনস্টেবল পবন এবং সৌদানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এই দুই কনস্টেবল অভিযুক্ত শাহ আলমকে সংঘর্ষে ইন্ধন জোগাতে দেখেও উচ্চতর কতৃপক্ষকে কেন জানায়নি ওই দুই কনস্টেবল। কেন প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নথিভুক্ত হওয়া অবধি অপেক্ষা করছিলেন?' কে তাঁদের পরবর্তী তদন্তে বাধা দিয়েছিল? এসব পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ দেখেই দিল্লি পুলিশের দায়ের করা প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক।