পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পেট্রোপোল স্থলবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে ভারত। আর দিল্লির এই সিদ্ধান্তেই প্রবল চাপে ঢাকা। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপে সরকারিভাবে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাই-কমিশনে মৌখিকভাবে সেই উদ্বেগের কথা জানিয়েছে হাসিনা প্রশাসন।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, 'ভারত বাংলাদেশে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। আগে ঢাকাকে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। শুনেছি ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই কারণে অনুতপ্ত।' তবে জানা গিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য দিল্লির কাছে আর্জি জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে প্রতি মাসে ২ লক্ষ টন পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। মজুত রয়েছে ৫.৬ লক্ষ টন পেঁয়াজ। এছাড়া, সেদেশের আমদানি প্রক্রিয়ায় রয়েছে ১১ হাজার টন পেঁয়াজ। ভারতের পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞার পরই তুর্কি থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে জোর দিচ্ছে ঢাকা। গত বছর অক্টোবর ও চলতি বছরের জানুয়ারিতেও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নয়াদিল্লি। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবেশী দেশটি।
১৫ সেপ্টেম্বর ভারতীয় হাই-কমিশনকে চিঠি দিয়ে ঢাকা জানায়, সচিব স্তরের দুই দেশের পূর্ববর্তী আলোচনায় বাংলাদেশের আর্জি মেনে ঠিক হয়- পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলে তা আগে থেকে তা বাংলাদেশকে জানানো হবে। তবে, এবার সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি।
গত অক্টোবরে নয়া দিল্লিতে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া ইকনমিক সামিটে’ যোগ দিতে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, 'জানি না ভারত কেন পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা মহা সমস্যায় পড়ে গিয়েছি। আমি তো রাঁধুনিদের বলেছি রান্নায় যেন একদম পেঁয়াজ না দেয়।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন