সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধে নয়া মোড়। সিবিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। অলোক ভার্মার অপসারণের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। সিবিআই ডিরেক্টর পদেই বহাল থাকছেন অলোক ভার্মা। সিবিআইয়ের এক নম্বর ও দু’নম্বর কর্তার মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাতের জেরে সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে ভার্মাকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত ঘিরে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন, সিবিআই ডিরেক্টর আলোক ভার্মা অপসারণ মামলায় রায়দান স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই ডিরেক্টর পদে বহাল থাকলেও এখনই সিবিআই ডিরেক্টর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না ভার্মা। এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি এ মামলা বিবেচনা করে দেখবে। এজন্য ৩ সদস্যের কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, ও বিরোধী দলনেতা।
সিবিআই মামলায় সুপ্রিম রায় প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘‘রাফালে দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন সিবিআই প্রধান, তাই রাত ১টা নাগাদ তাঁকে সরানো হয়েছিল। এখন তাঁকে সেই পদে পুনর্বহাল করা হল। কিছুটা বিচার মিলল। এখন দেখার আর কী হয়।’’ অলোক ভার্মার অপসারণের সিদ্ধান্ত খারিজ হওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও।
সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। সিবিআই, এনআইএ-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থায় প্রভাব খাটানো সরকারের বন্ধ করা উচিত বলেও এদিন টুইট করেছেন মেহবুবা। সুপ্রিম রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণও।
উল্লেখ্য, সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মাকে বেআইনি ভাবে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। অলোক ভার্মাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সিবিআই আইন লঙ্ঘিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, এহেন অভিযোগ নিয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দাখিল করেন ওই কংগ্রেস নেতা।
প্রসঙ্গত, গত ২8 অক্টোবর সিবিআইয়ের ডিরেক্টর পদ থেকে অপসারিত করা হয় অলোক ভার্মাকে। মধ্যরাতের এক নির্দেশে বলা হয়, ১৯৮৬ ব্যাচের ওড়িশা ক্যাডারের অফিসার ও যুগ্ম ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাও এবার সিবিআই ডিরেক্টরের দায়িত্বে নেবেন।
Read the full story in English