দিল্লিতে স্কুল খোলা নিয়ে এবার গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু হল। স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খোলার অনুরোধ জানিয়ে দিল্লি সরকারের কাছে এদিন এক আবেদন পত্র পাঠানো হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে ১৬০০ গনস্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদন পত্র এদিন পাঠানো হয়েছে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন সহ শিক্ষাদফতরের আধিকারিকদের কাছে। কী বলা হয়েছে সেই আবেদনপত্রতে? সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে ডাক্তার, ড্রাইভার, আইনজীবী, দোকানদার এবং গৃহিণী সহ প্রায় ১৬০৭ জন আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে অবিলম্বে স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি খোলা হোক।
গনস্বাক্ষর সম্বলিত সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রজাতন্ত্র দিবসে, নাগরিক এবং ভোটার হিসাবে, আমরা দৃঢ়ভাবে আপনাকে আমাদের শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জীবনের সাংবিধানিক অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানাই। আপনি ওমিক্রন-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়িগুলি অবশ্যই প্রথম খুলতে হবে (সব শ্রেণীর জন্য)। আমরা অভিভাবকদের পক্ষ থেকে এই দাবি জানাচ্ছি। বর্তমান পরিস্থিতি অবশ্যই পর্যালোচনা করে এবং সময়ের সঙ্গে সিস্টেমকে সময় এদিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত - আমাদের শিশুদের জীবন এবং শিক্ষার স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধার করার জন্য সেগুলি অবশ্যই বাস্তবসম্মত ও যুক্তিযুক্ত হবে"-
এই চিঠির একটি করে কপি দেওয়া হয়েছে দিল্লির মুখ্য সচিব বিজয় দেব, ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (NCPCR) চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো, দিল্লি কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (DCPCR) চেয়ারম্যান অনুরাগ কুন্ডু এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) চেয়ারম্যান মনোজ আহুজকে।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ফের স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমতেই স্কুলগুলি খোলার দাবি জোরালো হয়েছে। শিশুদের মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়গুলি সামনে আসতে শুরু করে। AIIMS, আইসিএমআর (ICMR), ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস(Indian Academy of Pediatrics), ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিভেনশন অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন(Indian Association of Preventive and Social Medicine), নিতী আয়োগ(NITI Aayog), ইউনিসেফ(UNICEF), বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank) এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সহ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার স্কুল খোলার পক্ষে কথা বলেছেন। বিশেষজ্ঞরা এও বলেছেন যে ছোট বাচ্চারা গুরুতর বা মারাত্মক কোভিড ১৯ এর খুব কম ঝুঁকিতে রয়েছে এবং টিকা স্কুল খোলার পূর্বশর্ত নয়। একটানা স্কুল বন্ধ শিশুদের ‘মারাত্মক ক্ষতির' দিকে পরিচালিত করেছে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।