প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বুধবার (৯ নভেম্বর) পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে চলমান সীমান্ত সংঘাতে মধ্যে যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকার জন্য সেনা কমান্ডারদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই প্রস্তুতি সব সময় উচ্চ পর্যায়ের হওয়া উচিত।
এদিনের সম্মেলনে নিরাপত্তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, "ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং তার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমাদের অবশ্যই 'যুদ্ধের জন্য' প্রস্তুত থাকতে হবে।"
সেনাবাহিনীর প্রশংসা করলেন রাজনাথ
প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশের সীমান্ত রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি প্রিমিয়ার একাডেমিক প্রতিষ্ঠান সহ অসামরিক শিল্পের সঙ্গে সহযোগিতায় বিশেষ প্রযুক্তির বিকাশ এবং স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে অগ্রগতির জন্য সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন। সোমবার থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী সামরিক কমান্ডার সম্মেলন চলবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময় সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জের বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
শি জিনপিংয়ের বক্তব্য উত্তেজনা বাড়িয়েছে
অন্যদিকে, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার তৃতীয় মেয়াদে সেনাবাহিনীর জয়েন্ট অপারেশন কমান্ড হেডকোয়ার্টারে প্রথম সফর করেন। এই সময় জিপিং চীনা সেনাবাহিনীকে "সামরিক প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি বাড়াতে" আহ্বান জানান। একই সময়ে শি জিনপিং বলেন, “সমগ্র সেনাবাহিনীকে তার সমস্ত শক্তি নিবেদন করা উচিত এবং যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য তার সমস্ত কাজ করা উচিত”। তবে জিনপিং তার এই বক্তব্যে কোন নির্দিষ্ট দেশের নাম উল্লেখ করেননি। চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে শি জিনপিংয়ের বক্তব্য প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে বলেই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: < কোয়েম্বাটুর গাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় রাজ্যের ৪০ জায়গায় তল্লাশি NIA-এর >
তাইওয়ান নিয়ে বিরোধ
চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে। আগস্টে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এরপর থেকে চিন ব্যাপক পরিসরে সামরিক মহড়া ও ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা করে তার শক্তি প্রদর্শন করেছে। চিন বরাবরই তাইওয়ানকে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে। একই সঙ্গে আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশ তাইওয়ানের ব্যাপারে চিনে এই মনোভাবের বিরোধিতা করে আসছে। তাইওয়ানও অনেক ফোরামের মাধ্যমে নিজেদেরকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করে আসছে।