Advertisment

'বিপথগামী' বিরোধীপক্ষ গণপ্রহার নিয়ে রাজনীতি করছে, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদী

গণপ্রহার বা ধর্ষণের ঘটনাকে স্রেফ পরিসংখ্যান হিসেবে না দেখে বা সেগুলো নিয়ে রাজনীতি না করে একজোট হয়ে এইসব অপরাধের বিরোধীতা করা উচিৎ বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Narendra Modi in Bengal: মেদিনীপুর কার্যত ২০১৯ নির্বাচনী প্রচারের ড্রেস রিহার্সাল

প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হলো মেদিনীপুরের বিখ্যাত মাদুর। এক্সপ্রেস ছবি: পার্থ পাল

সংবাদ সংস্থা এএনআই কে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণপ্রহারে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলগুলির অবস্থানকে "বিপথগামী" আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, ঘটনাগুলি থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিরোধীপক্ষ। গণপ্রহার বা ধর্ষণের ঘটনাকে স্রেফ পরিসংখ্যান হিসেবে না দেখে বা সেগুলো নিয়ে রাজনীতি না করে একজোট হয়ে এইসব অপরাধের বিরোধীতা করা উচিৎ বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

Advertisment

"এইসব ঘটনাকে স্রেফ পরিসংখ্যানের স্তরে সীমিত রেখে এগুলো নিয়ে রাজনীতি করলে সেটা একটা বিরাট প্রহসন হবে। এ হলো হিংসা এবং অপরাধকে দুইয়ে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার বিপথগামী মানসিকতা, একজোট হয়ে তাদের বিরোধীতা না করে," এএনআই কে বলেন মোদী।

তিনি আরও বলেন, "আমি এবং আমার পার্টি স্পষ্ট ভাষায় একাধিকবার এইসব ঘটনা এবং এইধরনের মানসিকতার বিরুদ্ধে কথা বলেছি। পুরোটাই রেকর্ডে রয়েছে। এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটলেও তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। সবার উচিৎ, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সমাজে শান্তি এবং ঐক্য বজায় রাখতে সাহায্য করা।"

গতমাসে বিজেপি-শাসিত রাজস্থানে গণপ্রহারের ঘটনার পর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী একটি টুইটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বলে সরাসরি আক্রমণ করেন। ওই ঘটনায় মৃত ব্যক্তিকে পুলিশ অনেক দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে রাহুল লেখেন, "এই হলো মোদীর 'নিউ ইন্ডিয়া', যেখানে মনুষ্যত্বের পরিবর্তে আছে বিদ্বেষ, এবং মানুষকে পিষে দিয়ে মরার জন্য ফেলে রাখা হয়।"

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ এবং মার্চ ২০১৮-র মধ্যে দেশের ন'টি রাজ্যে গণপ্রহারের ৪০টি ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে।

rajasthan rahul gandhi narendra modi PM Narendra Modi
Advertisment