জিএসটি বকেয়া পাচ্ছে না অ-বিজেপি রাজ্যগুলি। বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বিরোধী দলের সাংসদদের প্রশ্নের মুখে পড়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। নির্মলার দাবি, জিএসটি বকেয়া প্রদানের জন্য কেন্দ্র একটি নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনে চলে। তহবিল প্রদানের ক্ষেত্রে রাজনীতি করা হয় না।
নির্মলা এদিন বলেছেন, জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে একটি ফর্মুলা মেনে চলা হয়। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে প্রত্যেক রাজ্যের অর্থমন্ত্রী থাকেন এবং নিজেদের মতামত জানান। সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটাকে নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। সীতারমণের এই মন্তব্যের আগে তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলের সাংসদরা জিএসটি বকেয়া নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন সংসদে।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ ওয়াই এস চৌধুরি এই ইস্যুতে বলেছেন, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জিএসটি ক্ষতিপূরণ এখনও অনেক রাজ্যকে দেওয়া বাকি। এদিকে, জিএসটি সংগ্রহ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রকের এখনও ১ হাজার ৫২৪ কোটি দেওয়া বাকি। তামিলনাড়ুর ডিএমকে সাংসদ পি উইলসনের দাবি, কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্য ২০ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা পায়। তার মধ্যে জিএসটি বকেয়া হল প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন বঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংসদে বাংলায় সরব অধীর, সমর্থন সনিয়ার, ‘রাজনীতি’র অভিযোগ তৃণমূলের
জিএসটির টাকা বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বলেছেন, যখন কেন্দ্র রাজ্যের থেকে পরোক্ষ কর বাবদ জিএসটি সংগ্রহ করে রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে তখন কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজ্যের ভাগ তাকে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাসভঙ্গ করেছে। সেই সঙ্গে সংসদে বলা আশ্বাস লঙ্ঘন করছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গেরও বকেয়া অনেক টাকা। কেন্দ্রের কাছ থেকে চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যের বকেয়া রয়েছে প্রায় ৪ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। এদিন তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কেরল, দিল্লির মতো অ-বিজেপি রাজ্যগুলির বকেয়ার পরিমাণ এত বেশি কেন তা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়ে মেজাজ হারান নির্মলা সীতারমণ।