তাওয়াং ইস্যুতে আলোচনার দাবি না-মেটায় ওয়াকআউট করে রাজ্যসভায় প্রতিবাদ জানালেন বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি খারিজ করে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ জানান, আগাম নোটিস না-থাকায় চিনের আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। শেষ পর্যন্ত দাবি না-মেটায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা রাজ্যসভার কক্ষ ত্যাগ করেন।
এর আগে রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি জানান, তাওয়াঙে চিনের আগ্রাসন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ভিত্তিতে বিরোধীরা রাজ্যসভায় আলোচনা চায়। কারণ, বিরোধীরা সীমান্ত, সেনাবাহিনী এবং দেশের বর্তমান সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সেই প্রস্তাব খারিজ করতেই বিরোধীরা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ স্লোগান দেওয়ার পর তাঁরা সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। পালটা হরিবংশ জানান, 'প্রস্তাব দেওয়া নেই। আলোচনার তালিকায় নেই। কীসের ভিত্তিতে আলোচনা হবে?' তিনি বিষয়টি সভার আলোচনায় তালিকাভুক্ত করার জন্য জিরো আওয়ারে জমা দেওয়ার কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদ বলেন যে চিনা বাহিনী গত সপ্তাহে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের ইয়াংতসে এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) 'অতিক্রম' করার এবং 'একতরফাভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা বদলে দেওয়ার' চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনারা তাতে বাধা দিয়েছে। তাঁর সেই বক্তব্যের পরে, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য চাপ দিয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু, তাঁদের দাবি গৃহীত না-হওয়ায় বিরোধীরা সভাস্থল থেকে ওয়াকআউট করেন। এমনকী, রাজনাথ সিং বিবৃতি দেওয়ার আগে বিরোধীরা সংসদের উভয়কক্ষ বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ অচল করে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- ভারত-চিনের তাওয়াং সংঘর্ষ, কী অবস্থা এখন?
কার্যত সেই বিক্ষোভেরই সুর টেনে বুধবার রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, 'আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা চিনা সেনার নির্লজ্জ সীমালঙ্ঘনের ফলে প্রভাবিত হচ্ছে। কারণ সরকার নীরব দর্শক হয়ে আছে। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব সর্বজনবিদিত। কিন্তু চিন ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে নির্লজ্জভাবে আমাদের ভূখণ্ড লঙ্ঘন করছে। ডেপসাং সমভূমিতে ওয়াই জংশন পর্যন্ত বেআইনি এবং বিনা প্ররোচনাহীন চিনা সীমালঙ্ঘন এখনও অব্যাহত।'
খাড়গের অভিযোগ, 'পূর্ব লাদাখের গোগরা এবং হট স্প্রিংস এলাকায় চিনা সীমালঙ্ঘনের অবস্থাও একই রকম। শুধু তাই নয়, চিনা সেনার বিভাগীয় সদর দফতর, সেনা সরঞ্জাম, গোলন্দাজ বাহিনী, বিমান-বিধ্বংসী আগ্নেয়াস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়িগুলোর জন্য অস্ত্র বাংকার-সহ প্যাংগং সো লেক এলাকার পাশে চিনা সেনার নির্মাণগুলোয় আনা হয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমাগত বিষয়টি উপেক্ষাই করে চলেছে।'
Read full story in English