Advertisment

কমলা লেবু, পায়রা, পায়জামা চুরির ক্ষেত্রেও FIR, দিল্লিবাসীর জীবনধারণ ও অপরাধপ্রবণতা অবাক করবে!

হাই-প্রোফাইল মামলাগুলির মধ্যে একটি হল ১৮৯৭ সালে নয়াদিল্লির ইম্পেরিয়াল হোটেলে একটি চুরির ঘটনা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Delhi police, Delhi police FIRs, Delhi police FIR translated, Delhi police FIRS digitised, Delhi police digital records, indian Express, delhi, delhi news, delhi first fir

সেই প্রাচীন FIR কপি

উনিশ শতকের দিল্লি পুলিশের দায়ের করা অভিযোগ জানলে চোখ কপালে উঠবে। "প্রাচীন"কালের এই ধরণের এফআইআর হয়ত আজকের দিনে অনেকক্ষেত্রেই অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু অতীতের অপরাধের একটা দীর্ঘ ইতিহাস এর মাধ্যমে সামনে উঠে এসেছে।

Advertisment

১৮৬১ সাল থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে রিপোর্ট করা অপরাধের ক্ষেত্রে ২৯টি "প্রাচীন" এফআইআর দিল্লি পুলিশের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই ডাকাতি মত অপরাধ। অপরাধের ক্ষেত্রে এফআইআর অনুসারে ১০৪টি পায়রা চুরি, ১০০টি ছাগল চুরি এক জোড়া পায়জামা, ১১টি কমলালেবু, একটি মদের বোতল, বিছানার চাদর, একটা প্লেট, এমনকি একটা কুলফি চুরিরও এফআইআরের উল্লেখ রয়েছে সেখানে। সেই সকল তথ্য ডিজিটাইজেশন-এর অংশ হিসাবে দিল্লি পুলিশের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।

সেই অপরাধের তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে রয়েছে এমন একটি অপরাধ যা বেশ মজার। পাত্রী খুঁজে দেওয়ার নাম করে শিব নামে জনৈক এক ব্যক্তি তার আত্মীয়কে ২০টাকা অগ্রিম হিসাবে দেয়। পাত্রী তো জোটেই নি উলটে এক বৃদ্ধার সঙ্গে বিয়ের ঠিক করেছিলেন তার সেই আত্মীয়। সেই মর্মে শিব থানায় এফআইআর দায়ের করেন। এসিপি রাজেন্দর সিং কালকাল, যিনি কিছু এফআইআর সংরক্ষণ এবং ব্যাখ্যা করার বিষয়ে কাজ করেছিলেন তিনি বলেছেন, ১৮০০-এর দশকে, বেশিরভাগ গ্রেফতার এবং এমনকি অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে। সেই সময় মামলার ধরণ একেবারেই আলাদা ছিল। কমলা লেবু, পায়রা, পায়জামা চুরি করাও একটা বড় অপরাধ বলেই গন্য হত। আজ, হাজার হাজার মামলা, যার মধ্যে কিছু মামলা অত্যন্ত জটিল এবং তদন্ত করতে অনেকটাই সময় লাগে। আদালতে মামলার রায় আসতেও সময় লেগে যায় অনেকটাই। সেই কারণে দোষী সাব্যস্ত হতেও বেশি সময় লাগে,”।

হাই-প্রোফাইল মামলাগুলির মধ্যে একটি হল ১৮৯৭ সালে নয়াদিল্লির ইম্পেরিয়াল হোটেলে একটি চুরির ঘটনা। হোটেলে বসে সিগারেটের প্যাকেট ও মদের বোতল চুরি করে চোরেরা। হোটেল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে ধরার জন্য ১০ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল, কিন্তু সেই মামলার কোন সুরাহা হয়নি। এফআইআরগুলির গবেষণা এবং সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে দিল্লি পুলিশ তার ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। সেই সময়ের অপরাধের ধরণ এবং পুলিশের ভূমিকা এই দুয়ের বিষয়ে জনমানসে একটা ধারণা তৈরি করাও লক্ষ্য দিল্লি পুলিশের।

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র ডিসিপি সুমন নালওয়া বলেছেন, “আমরা এখন প্রাচীন এই এফআইআর সম্পর্কে তথ্য আপলোড করেছি যাতে প্রত্যেকের কাছে বিষয়টি সহজে পৌঁছায়। সমস্ত FIR উর্দু থেকে হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়েছে এবং প্রতিটি নথিতে ঘটনার অ্যানিমেটেড ব্যঙ্গচিত্র রয়েছে।" তিনি আরও বলেছেন, “আজকের এফআইআরগুলির মতোই, পুরানো এফআইআরগুলিতে অভিযোগকারীর বিবরণ, এফআইআর নম্বর, বিভাগ এবং সন্দেহভাজনদের বিশদ বিবরণ রয়েছে। শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য পার্থক্য এফআইআর-এর শেষ অংশে, যে অংশে অভিযোগের বিবরণ লেখা থাকে”। বেশিরভাগ পুরানো এফআইআর অক্ষত অবস্থায় রয়েছে এবং লেখা এখনও স্পষ্ট এবং কাগজটিও ভাল অবস্থায় রয়েছে বলেই জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। সব থেকে উল্লেখযোগ্য একটি এফআইআর ৪-৫ জন সহযোগীর সঙ্গে রাম প্রসাদের খামার থেকে ১১টি কমলালেবু চুরির ঘটনা। সেই মামলায় সকলেই ধরা পড়ে এবং ১মাস কারাভোগ করতে হয়।

Delhi Police
Advertisment