Advertisment

লাদেন-পুত্র হামজা নিহত, দাবি আমেরিকার

লাদেন পুত্রের মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশ করে এনবিসি নিউজ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হামজার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে বলে খবর। তবে এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hamza bin laden, হামজা বিন লাদেন

লাদেন পুত্র হামজা।ছবি: টুইটার।

ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের মৃত্যু হয়েছে। এমন দাবিই করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই সরকারি আধিকারিক। লাদেন পুত্রের মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশ করে এনবিসি নিউজ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হামজার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে বলে খবর। তবে এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কীভাবে লাদেন পুত্রের মৃত্যু হল, সে ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। কখন এবং কোথায় লাদেন পুত্রের মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারেও কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে মার্কিন প্রশাসন। হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুর পিছনে আমেরিকার হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ঠিক কী ভূমিকা রয়েছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে এখনও জানা যায়নি। তবে, লাদেন পুত্রের মৃত্যুর খবর নিঃসন্দেহে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

Advertisment

আরও পড়ুন: বাড়িতে ভেঙে পড়ল পাক সামরিক বিমান, মৃত ১৭

লাদেনের মৃত্যুর পর আল কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন হামজা। লাদেনের মৃত্যুর পর হামজার টার্গেট ছিল আমেরিকা। তাই টুইন টাওয়ারে নাশকতা হামলার শিক্ষা নিয়ে লাদেন পুত্রকে ঘিরে অতি সাবধানী ছিল ট্রাম্প প্রশাসন। হামজার সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারলেই পুরস্কার হিসেবে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হামজা যে আগামী দিনে সন্ত্রাসের নয়া ত্রাস, সেকথাও উল্লেখ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার তরফে জানানো হয়েছিল, ২০১৫ সালের অগাস্ট মাস থেকে ইন্টারনেটে অডিও ও ভিডিও বার্তায় অনুগামীদের উদ্দেশে জঙ্গি হামলার কথা বলেছে হামজা। এজন্য টার্গেট করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমী দেশগুলোকে। বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জঙ্গি হানার হুমকি দেয় লাদেন পুত্র। একথাই জানিয়েছিল আমেরিকা।

আরও পড়ুন: ৭২ বছর পর প্রাচীন মন্দিরে পুজো দিলেন পাকিস্তানের হিন্দুরা

লাদেন পুত্রকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। হামজা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে বিমান সফর থেকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। একইসঙ্গে লাদেন পুত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। আলকায়দার বর্তমান নেতা আইমান-আল-জাওয়াহিরির ‘সম্ভাব্য উত্তরসূরি’ বলে বর্ণনা করে রাষ্ট্রসংঘ।

Read the full story in English

International news
Advertisment