তাঁর গ্রেফতারিটা বড় ব্যাপার না। পাকিস্তানবাসীকে তাঁদের অধিকারের লড়াই ছাড়লে চলবে না। তাঁদের লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে। তাঁর নেতৃত্বাধীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান পার্টির নেতা-কর্মী, সমর্থকদের এমনই আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান। মঙ্গলবার এই আহ্বান সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ শুরু হয়। তোষাখানা মামলায় পাকিস্তান পুলিশ লাহোরে ইমরানের জামন পার্কের বাড়িতে পৌঁছনোমাত্র প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর অধিকারের পক্ষে লড়াইয়ের ডাক দাবানলের মত প্রতিবেশী দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ ইমরানের বাড়ির সামনেও ছড়ায়। ইমরানের গ্রেফতারি রুখতে তাঁর সমর্থকরা জামন পার্কের বাড়ির সামনে জড় হয়েছিলেন। সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। পালটা, ইমরানের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পাকিস্তান পুলিশ। পাশাপাশি, জলকামান দিয়েও ইমরানের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চলে। পুলিশের সঙ্গে এই সংঘর্ষে ইমরানের বেশ কয়েকজন সমর্থক গুরুতর আহত হন।
এই সংঘর্ষ যখন চলছে, ঠিক তখনই দাবানলের মতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ইমরান খানের বক্তব্য। তারপরই ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়ায় ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, করাচি, ফয়জলাবাদ, সারগোধা, ভেহারি, পেশোয়ার, কোয়াট্টা, মিয়াঁওয়ালির মত বিভিন্ন জায়গায়। এই সব ঘটনার আগে পাকিস্তান সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, ইমরানের গ্রেফতারি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তোষাখানা মামলায় সরকারি কোষাগারে জমা হওয়া বিভিন্ন উপহারের কোনও হিসেব দেননি ইমরান। দামি হাতঘড়ি-সহ বিভিন্ন উপহার তিনি মোটা টাকার বিনিময়ে বেচে দিয়েছেন। আর, তার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। পাকিস্তান সরকারকে ওইসব উপহার বিক্রির কোনও অর্থ দেননি। এই মামলাতেই ইমরান খানকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- নাগপুরে জি২০ বৈঠক! হীরক রাজার দেশের মতই রাস্তায় ভিখারি-ভবঘুরেদের খেদাচ্ছে পুলিশ
এই মামলা ২০২২ সালের আগস্ট মাসে প্রথম সামনে আসে। পাকিস্তানের তখতে তখন ইমরানের অপসারণ করে বসেছে মুসলিম লিগ নওয়াজের নেতৃত্বাধীন সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ঘনিষ্ঠ নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ তারপর থেকেই ইমরানকে গ্রেফতার করানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন।