টিকাকরণে নয়া মাইলফলকে ভারত, দেশে ১৮২.৮৩-কোটি টিকাদান সম্পন্ন।এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই সঙ্গে জানান হয়েছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাদানের ক্ষেত্রেও ১ কোটির মাইলফলক ছুঁয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে ২.২৩ কোটি বুস্টার ডোজের টিকাদানের কাজও সম্পন্ন হয়েছে টুইট বার্তায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাদান প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া এই টুইট বার্তায় লিখেছেন, “১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী এক কোটিরও বেশি শিশু তাদের প্রথম কোভিড টিকার ডোজ পেয়েছে। আমি আমার সমস্ত তরুণ যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি যারা এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা পেয়েছেন, আসুন এই গতি অব্যাহত রাখি!"
গত বছরের ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী শুরু হয় টিকাদান অভিযান। প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়া হয় স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের টিকা দেওয়ার কাজ। কোভিড-১৯ টিকাদানের পরবর্তী পর্যায়টি ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং ৪৫ বছর বা তার বেশি কোমর্বিডিটি সহ ব্যক্তিদের জন্য টিকাদানের কাজ শুরু হয় গত বছর ১ মার্চ থেকে। সেই সঙ্গে গত বছরই ১ এপ্রিল থেকে চালু হয় ৪৫ বছরের বেশি বয়সী সকল মানুষের জন্য টিকাদান কর্মসূচী। এরপর সরকার গত বছরের ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসে। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য টিকাদান শুরু হয় চলতি বছর ৩ রা জানুয়ারি। ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ষাটোর্ধ্ব মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ। এর পাশাপাশি ১৬ মার্চ শুরু হয় ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কাজ।
আরো পড়ুন: ‘মাদ্রাসা বন্ধ করুন’, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন বিজেপি বিধায়কের
টিকাদান এবং কঠোর বিধিনিষেধ এই দুইয়ের ওপর ভর করেই ভারতে অনেকটা কমেছে সংক্রমণ। রবিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে ১ হাজার ৪২১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৫৩। যদিও এর মধ্যে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৮২ হাজার ২৬২ জনই করোনামুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু ১৪৯ জনের। তথ্য বলছে দেশে এখনও পর্যন্ত ভাইরাসের বলি ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৪ জন।