মহারাষ্ট্রের পালঘর গণহত্যা এবং কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে 'অবমাননাকর' মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ১২ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে পুলিশি জেরার মুখে রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতেই সোমবার মুম্বাই পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পালঘরের গণহত্যাকান্ডে সোনিয়া-যোগ রয়েছে অর্ণবের এমন মন্তব্যর পরই মহারাষ্ট্রের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী নীতিন রাউত তাঁর বিরুদ্ধে নাগপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন মন্ত্রী। যেখানে দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য উস্কানিমূলক মন্তব্য, ধর্ম বা বর্ণের ভিত্তিতে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার বাতাবরণ তৈরি করা, ইচ্ছাকৃতভাবে এবং বিদ্বেষমূলক আচরণের দ্বারা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করা এবং মানহানির কথা উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট অর্ণবের আবেদন মেনে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর এই মামলার ভার যায় মুম্বাই পুলিশের কাছে। রবিবারই থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য দু'টি নোটিস পাঠানো হয় অর্ণবকে। সোমবার সকাল ৯.৩০ নাগাদ থানায় যান তিনি। পরবর্তীতে রিপাবলিক টিভির ওয়েবসাইটের দেওয়া বিবৃতিতে অর্ণব বলেন, "সোনিয়া গান্ধীর প্রতি আমার যে মন্তব্য তা নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আমি পরিষ্কার জানিয়ে দেই আমার মন্তব্য থেকে আমি নড়ব না। আমি এটাও জানিয়ে দিয়েছি আমি সেদিন যা বলেছি তা যথার্থই ছিল। আমি আমার পক্ষ থেকে যা বলার পুলিশকে বলেছি এবং তাঁরা সেই উত্তরে সন্তুষ্ট। আমি তদন্তে সব রকমের সহায়তা করেছি।"
তবে রাজনৈতিক চাপের কারণেই তাঁকে এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কি না তা জানতে চাইলে অর্ণব সংবাদমাধ্যমকর্মীদের বলেন, “আমি এখন উদ্দেশ্যটি সামনে আনতে চাই না। তবে আজ এখানে যারা প্রত্যক্ষ করছেন প্রত্যেকেই জানেন যে আমি সত্যের পক্ষে আছি। আমি নিজের মন্তব্যতে অনড়। অর্ণব গোস্বামীর আইনজীবী কাঁটাওয়ালা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "অর্ণবকে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়। তাঁকে সেদিনের অনুষ্ঠানটি দেখান হয় এবং প্রশ্নও করা হয়। উনি সব প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন।"
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ অবিনাশ কুমার বলেন, “নাগপুর মামলাটি মুম্বাইতে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং আমরা বর্তমানে এটি খতিয়ে দেখছি। এছাড়াও, একজন ব্যক্তিকে কতদিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তদন্তকারীদের হাতে রয়েছে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন