'হর ঘর তিরাঙ্গা' কর্মসূচী বাস্তবায়িত করার জন্য দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই ২০ কোটি জাতীয় পতাকা দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ২২ জুলাই জনগণকে ১৩-১৫ আগস্টের মধ্যে তাদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা প্রদর্শন করে 'হর ঘর তিরাঙ্গা' আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে সরকার 'হর ঘর তিরাঙ্গা কর্মসূচী সামনে আনে। মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে 'হর ঘর তিরাঙ্গা' কর্মসূচী সফল ভাবে পালন করতে প্রায় ২০ কোটি জাতীয় পতাকা তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে ফ্ল্যাগ কোডের পরিবর্তন মানুষকে আরও বেশি জাতীয় পতাকা উত্তোলনে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এর অধীনে 'হর ঘর তিরাঙ্গা' অভিযানের অংশ হিসাবে, কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জনগণকে তাদের বাড়িতে ভারতীয় তেরঙ্গা উত্তোলনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। শুধু বাড়ি নয়, অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথাও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: < রুশদির ওপর হামলা বর্বোরোচিত, প্রতিবাদে গর্জে উঠল তামাম বিশ্ব! >
প্রধানমন্ত্রী মোদী গত ৩১ জুলাই বলেছিলেন যে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হচ্ছে এবং ২ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ছবি হিসাবে 'তিরাঙ্গা' রাখার জন্য জনগণকে আহ্বানও জানান তিনি। গত ২রা অগাস্ট মোদী নিজেও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ছবি বদল করে তিরঙ্গার ছবি দেন সেই সঙ্গে সকল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিজেপির সিনিয়র নেতারা সেই প্রটোকল ফলো করে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে জাতীয় পতাকার ছবি দেন। সকলের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতেই স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে অভিনব ভাবনা মোদী সরকারের। ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দেশে যুব সমাজের কাছে 'হর ঘর তিরাঙ্গা' কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার আবেদন করে বলেছেন, " “তিরাঙ্গা হল ১৩০ কোটি ভারতীয়’র ঐক্যের প্রতীক। স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশের যুব সম্প্রদায়কে দেশের কাজে আরও বেশি এগিয়ে আসতে বলে। নিজেকে বলিদান নয় দেশপ্রেমে যোগদানের মাধ্যমে”।