দিওয়ালির দিনেই উত্তরাখণ্ডে বড়সড় দুর্ঘটনা। ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান টানেল। টানেলের ভিতর আটকে রয়েছেন কমপক্ষে ৩৬ জন শ্রমিক। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে SDRF দল। এডিজি এপি অংশুমান জানিয়েছেন, 'এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। SDRF এবং অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশও। সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে ইতিমধ্যেই উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা'। SDRF সূত্রে জানা গিয়েছে টানেলে শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে টানেলে ভুমিধসে আটকে পড়েছেন ৩৬ জন শ্রমিক। ভূমিধসের কারণে এ ঘটনা ঘটে বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে । যমুনোত্রী জাতীয় সড়কে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। এর আওতায সিল্কায়ারা থেকে দান্দলগাঁও পর্যন্ত একটি টানেলও নির্মাণ করা হচ্ছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী দল। টানেল থেকে শ্রমিকদের বের করা আনার চেষ্টা চলছে।
তথ্য অনুযায়ী, টানেলের ভেতরে ৩৬ জনেরও বেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন। উত্তরকাশী জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এই দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছানো কর্মকর্তারা জানান, শ্রমিকদের উদ্ধারঅভিযান ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এসডিআরএফ এবং উদ্ধারকারী দলের প্রচেষ্টায় ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এডিজি আইন ও শৃঙ্খলা এপি অংশুমান জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। SDRF এবং অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রোববার ভোর ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। সিল্কিয়ারার দিকে টানেলের প্রবেশপথ থেকে 200 মিটার দূরে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। সে সময় সেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করছিলেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। অলওয়েদার রোড প্রকল্পের আওতায় তৈরি হওয়া এই টানেলের দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে চার কিলোমিটার যার মধ্যে চার কিলোমিটারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এই টানেলটি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ করার টার্গেট ছিল কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তা শেষ না হওয়ায় ২০২৪-এর মার্চে টানেলের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।