Bangladesh Protests : বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে কারফিউয়ের ডাক দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। চাকরি ক্ষেত্রে রিজার্ভেশন সিস্টেম নিয়ে বিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১০৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশের চলমান বিক্ষোভের মধ্যে ৪০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে উপস্থিত সাড়ে আট হাজার ভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে ৪০৫ জনকে এখন পর্যন্ত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তিনি এই বিষয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে অবিরাম যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
কোটা বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ। হিংসার আগুন জ্বলছে সে দেশে। ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগোচ্ছে। ভারতের পড়শি দেশে লাগাতার প্রতিবাদ-আন্দোলনের জেরে আরও উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের থামাতে আরও কড়া পদক্ষেপ শেখ হাসিনা সরকারের। এখনও পর্যন্ত ১০৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ সরকার।
কোটা বিরোধী বিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে দলে দলে সেখান থেকে বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা ফিরে আসতে শুরু করেছেন। যেভাবেই হোক বাংলাদেশ থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, "সরকার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক।" সংবাদ সংস্থা এপি-র মতে, বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন যে তাঁরাও আলোচনার জন্য তৈরি।
আরও পড়ুন - < Jamal Uddin Sardar: তৃণমূলের শহিদ দিবসের আগে ‘নাটকীয়’ গ্রেফতার, পুলিশের জালে সোনারপুরের সর্দার >
যাইহোক, বিক্ষোভের সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম রয়টার্সকে বলেন, "আলোচনা এবং গুলি চালানো একসাথে যায় না… আমরা আলোচনার জন্য মৃতদেহকে পদদলিত করতে পারি না"। এদিকে, বিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল।
বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিকদের ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনের জারি করা পরামর্শ অনুযায়ী চলার নির্দেশ দিয়েছে। কোটা বিক্ষোভের মধ্যে নাগরিকদের বাংলাদেশে বেড়ানোর ক্ষেত্রে ও বাড়ির বাইরে চলাচল কমানোর জন্য অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশন। বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন যে হাই কমিশন এবং সহকারি হাই কমিশনগুলি যে কোনও সহায়তার জন্য হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে উপলব্ধ থাকবে।
কোটা বিরোধী বিক্ষোভ যত দিন যাচ্ছে ততই হিংসাত্মক হয়ে উঠছে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় শুক্রবার দেশব্যাপী কারফিউ জারি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা করেছে, সংবাদসংস্থা এএফপি এমনই জানিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫-এ পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলগুলি বন্ধ। টেলিযোগাযোগ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। অনেক সংবাদপত্রের ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিও নিষ্ক্রিয় রয়েছে। বিদেশি টেলিফোন এবং ইন্টারনেট কলও করা যাচ্ছে না।
আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশে কোটা সিস্টেমের অবসানের দাবি জানিয়েছে ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ বরাদ্দ, সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা জানিয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলি দাবি করেছে , কোটা পদ্ধতি বৈষম্যমূলক এবং হাসিনার সমর্থকদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে।