Advertisment

চার রাজ্যের অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে কেরালা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চারটি রাজ্য নিয়ে উদ্বেগ এখনও রয়েই গেছে, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

দেশে নিন্মমুখী কোভিড গ্রাফ। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ৪টি রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে চারটি রাজ্য থেকে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে কেরালা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটক। অন্যান্য ১১টি রাজ্যে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা ১০ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে।

Advertisment

১৪১ টি জেলায় পজিটিভিটি রেট এখনও ১০ শতাংশের বেশি। ১৬০ টি জেলায় এই হার রয়েছে ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। ২৪ জানুয়ারি পজিটিভিটি রেট রেকর্ড ছুঁয়েছিল ওই দিন দেশে পজিটিভিটি রেট ছিল ২০.৭৫ শতাংশ। ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করছে। এই মুহূর্তে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৪৪ শতাংশে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “এই হার ইঙ্গিত দেয় সারা দেশেই করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে”।মন্ত্রক আরও বলেছে যে সমস্ত রাজ্য জুড়ে করোনভাইরাস সংক্রমণ এবং ইতিবাচক হার তুলনামূলক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায় বিদেশে থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইন বাতিল হচ্ছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উঠে যাচ্ছে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারান্টাইন। বদলে, যাত্রীদের কারও করোনার লক্ষণ থাকলে, তাঁরা নিজেদের আইসোলেট করবেন। লক্ষণ আছে কি, নেই? টানা ১৪ দিন যাত্রীদেরই তা নজরে রাখতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সারা দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমতেই আশাবাদী সরকার।তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-এর সতর্কবাণী মাথায় রাখছে কেন্দ্র। ‘হু’ জানিয়েছে, যে কোনও মুহূর্তে ফের করোনা সংক্রমণ ঘটতে পারে। নতুন করে শক্তিশালীও হয়ে উঠতে পারে এই ভাইরাস। কারণ, এখনও বারবার সংস্করণ বদলাচ্ছে করোনা। আর, সেই সাবধানবাণী মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনই করোনাবিধি ব্যাপকহারে কমানোর সময় আসেনি। তাই রাজ্য এবং জেলাগুলোয় সমানতালে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগ্রহণ চলছে।

আরো পড়ুন: সংক্রমণ কমলেও স্বাস্থ্য দফতরকে চিন্তায় রাখছে করোনায় মৃত্যু

তবে, সামগ্রিক ভাবে দেশে করোনা সংক্রমণ আশাপ্রদ বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।দেশের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডা. ভিকে পাল বলেন, ‘যখন আমরা অতিমারী পরিস্থিতির দিকে তাকাই, তখন দেখি যে একটা মিশ্র ছবি ধরা পড়ছে। আমরা আশা দেখছি। কারণ, গত চার-পাঁচ দিনে দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ এক লক্ষেরও কম। প্রথমদিকে যে সামান্য পরিমাণ করোনা সংক্রমণের খবর পাচ্ছিলাম, এখন আমরা তেমনই খবর পাচ্ছি। এই ধারাবাহিকতাটা থাকছে। আরেকটা ভালো লক্ষণ যে সামগ্রিক সংক্রমণটা পাঁচ শতাংশেরও কম। এটাই বোঝাচ্ছে যে সামগ্রিক অতিমারী পরিস্থিতি রীতিমতো আশাপ্রদ।’ইতিমধ্যেই দেশের ১ কোটিরও বেশি ১৫-১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছে। অন্যদিকে, দেশের দৈনিক সংক্রমণও নিম্নমুখী। তবে উদ্বেগ জারী রাখছে চারটি রাজ্য। তাই আপাতত এই চারটি রাজ্যের ওপর বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

Advertisment