বিশাখাপত্তনমে একটি পোশাক তৈরির কারখানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গ্যাস লিকের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লেন অন্তত ৫০ জন কর্মী। তাদের সবাইকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। গত ২ মাসের মধ্যে এটা দ্বিতীয় দুর্ঘটনা। এর আগে গত ৩ জুনও একই স্থানে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে গ্যাস লিকের কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন ২০০ এর বেশি মহিলা শ্রমিক। তখনই সন্দেহ করা হয় পাশের একটি ল্যাবরেটরি থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়েই এই বিপত্তি। হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগই এখন স্থিতিশীল।
ঘটনার পর আনাকাপ্পালির এসপি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের আনাকাপ্পালি জেলার অচ্যুতাপুরম এসইজেড অঞ্চলের কাছে এই গ্যাস লিকের কারণে কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে এসইজেডের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। অনেকের মধ্যেই মাথা ঘোরা, বমি সহ একাধিক উপসর্গ দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি কারখানার নিজস্ব গাড়িতেও অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরপরই, হায়দ্রাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজির বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখেন”।
ঘটনার অন্ধ্রপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ল্যাবটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। পোরাস ল্যাবটি এর আগেও দুর্ঘটনার পর কয়েকদিনের জন্য বন্ধ ছিল, কিন্তু শীঘ্রই আবার তার কাজ পুনরায় চালু করে। ২০২০ সালের ৮ মে বিশাখাপত্তনমে বন্ধ কারখানা থেকে গ্যাস লিক করে মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হাজারেরও বেশি। তারও আগে ১৯৮৪ সালের ৩ রা ডিসেম্বর মিথাইল আইসোসায়ানাইড গ্যাস লিক হয়ে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে মৃত্যু হয় মোট ৩,৭৮৭ জনের। প্রায় ৫ লক্ষের বেশি মানুষ এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। চলতি বছরের মধ্যেও একই ধরণের ঘটনা সামনে আসে। এর আগে গত ৩ রা জুন গ্যাস লিকের কারণে এই অঞ্চলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ২০০ মহিলা। বারবার এক ই ধরণের ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শ্রমিকদের পরিবার।