গ্রামীণ টিকাকরণে বড়সড় সাফল্য। গ্রামীণ ভারতের ৬০ শতাংশেরও বেশি নাগরিক করোনা টিকার ডোজ পেয়েছেন। গত তিন সপ্তাহে গ্রামীণ টিকাকরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছে। জানা গিয়েছে, গত তিন সপ্তাহে মোট ৯ কোটি ৮৭ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে গ্রামীণ এলাকাতেই দেওয়া হয়েছে ৬ কোটি ২২ টিকার ডোজ। পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন সপ্তাহে দেশে মোট টিকাকরণের ৬৩ ভাগই দেওয়া হয়েছে গ্রামাঞ্চলগুলিতে। বর্তমানে দেশের গ্রামাঞ্চলে রোজ ২৯ লক্ষ ৬৬ হাজার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
মারণ করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে টিকাকরণই একমাত্র উপায়। বারবার একথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সরকারও দ্রুততার সঙ্গে টিকাকরণ কর্মসূচি চালানোর জোরদার তৎপরতা নিয়েছে। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও টিকাকরণ যাতে মসৃণ গতিতে এগোয় সেব্যাপারে তৎপর স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তথ্য বলছে, এই মুহুর্তে দেশের ১১ রাজ্যে করোনা-টিকার ২ কোটিরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। গত ২ সপ্তাহে এই রাজ্যগুলির গ্রামীণ এলাকাগুলিতে টিকাকরণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশে করোনার টিকাকরণ নিয়ে ২৬ জুন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, চলতি বছরের ১ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত করোনা টিকার মোট ডোজের মাত্র ৫১ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় পাঠানো হয়েছিল। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে ৫৪ দিনে গ্রামীণ ভারতের মোট ৯ কোটি ৬১ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৭ লক্ষ ৮১ হাজার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে গ্রামাঞ্চলে।
আরও পড়ুন: ৫ মাসে সর্বনিম্ন সংক্রমণ, একধাক্কায় অনেকটাই কমল অ্যাকটিভ রোগীর হার
দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে টিকাকরণে গতি বেড়েছে। গত তিন সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি গ্রামীণ টিকাকরণের ক্ষেত্রে। গত তিন সপ্তাহে দেশের গ্রামাঞ্চলে ৬ কোটি ২২ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রতিদিন ২৯ লক্ষ ৬৬ হাজার টিকার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় টিকাকরণে গতি আসার অন্যতম প্রধান কারণ হল, করেনাার দ্বিতীয় ধাক্কা। দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তেই গ্রামাঞ্চলে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
করোনায় মৃত্যু-মিছিল দেখেছে দেশের একাধিক রাজ্যের গ্রামীণ এলাকা। গ্রামাঞ্চলে অনুন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় করোনা আরও বেশি বিপদ বয়ে আনতে পারে, মূলত এই আশঙ্কা থেকেই তৎপরতা নেয় কেন্দ্র। গ্রামাঞ্চলে যাতে দ্রুত গতিতে টিকাকরণ চলে তার জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। করোনার তৃতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি, এটা মাথায় রেখেই চলে তৎপরতা। সেই মতো পরিকল্পনা করে কাজ এগোনয় সাফল্য এসেছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন