প্রায় ২ বছর ধরে করোনার সঙ্গে লড়ছে গোটা বিশ্ব। ভারতেও করোনার জোরালো দাপট এখনও জারি। তবে গত দু'বছর ধরে করোনার সঙ্গে লড়তে-লড়তে বহু মানুষের শরীরেই তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। সেই অ্যান্টিবডি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের শরীরেও তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। সম্প্রতি ওড়িশা ১২ টি জেলায় সেরোলজিক্যাল সার্ভে চালানো হয়। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৬-১০ বছর বয়সী ৭০ শতাংশ শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ওই জেলাগুলিতে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৭৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর শরীরেও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
আরসিএমআর-এর রিজিওনাল মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে ওই সেরো সার্ভে চালানো হয়েছিল। আরসিএমআর-এর অধিকর্তা সংঘমিত্রা পতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ৭০ শতাংশ সেরো প্রিভিলেন্স পাওয়া গিয়েছে। ১১-১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে সেই পরিসংখ্যান ৭৪ শতাংশ। ৬-১০ বছর বয়সী বেশিরভাগ শিশুরা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেনি। কারণ তারা ঘরের মধ্যেই ছিল। তবে তাদের মধ্যেও যারা আক্রান্ত হয়েছে, তার জন্য পরিবারের অন্য কেউ বা ঘনিষ্ঠ কেউ দায়ী।”
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আতঙ্কে গোটা দেশ। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমকে কেন্দ্র করে দেশে করোনার তৃতীয় ধাক্কা জোরালো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার তৃতীয় ধাক্কায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি বলে মনে করা হয়েছিল। তবে ওড়িশায় শিশুদের নিয়ে এই সমীক্ষা নিঃসন্দেহে সেই আশঙ্কা থেকে খানিকটা হলেও স্বস্তি দেবে অভিভাবকদের। উল্টোদিকে, শিশুদের জন্যও করোনার টিকা তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শিশুদের টিকার ট্রায়াল পর্ব শুরু হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছরেই শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুন- ভাঙছে কংগ্রেস, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আজই তৃণমূলে যোগদান
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার আবহে ফি দিন ওঠানামা করছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও দক্ষিণের রাজ্য কেরল উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের। বর্তমানে দেশের সিংহভাগ করোনা রোগীই কেরলের বাসিন্দা।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন