শীর্ষ আদালতের শুক্রবারের নির্দেশ অনুযায়ী, অলোক ভার্মার রিপোর্টের প্রতিলিপি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল এবং সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে পাঠানো হয়েছে। সিবিআই -এর প্রাক্তন ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাও একটি প্রতিলিপি চেয়েছিলেন। তাঁর আর্জি ফিরেয়ে দিয়েছে আদালত।
সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিটির পক্ষ থেকে তুষার মেহতা আদালতে হাজিরা দিয়ে বলেন, "সিভিসি রিপোর্ট আমি নিজে দেখিনি"। মেহতার মন্তব্যের ভিত্তিতে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, "আপনি-ই তো সিভিসি-র হয়ে এসেছেন, সিভিসি-এর রিপোর্ট আপনার হাতে তৈরি"। সলিসিটর জেনেরাল মেহতা বলেন, "আমি ভিজিল্যান্স কমিটির হয়ে আদালতে হাজিরা দিয়েছি ঠিক-ই, কিন্তু রিপোর্ট একমাত্র শীর্ষ আদালতের কাছেই জমা পড়েছে"।
আরও পড়ুন, সিভিসি রিপোর্ট অলোক ভার্মার কাছে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
অ্যাটর্নি জেনেরাল ভেনুগোপাল আদালতে বলেন, "আমি আমার বন্ধুকে বলেছি, ওঁ-ই তো সিভিসি। সুতরাং ওঁর হাতে রিপোর্টের একটা কপি থাকা উচিৎ"। এর পরিপ্রেক্ষিতে তুষার মেহতা বলেন, "আদালত যেহেতু রিপোর্ট চেয়েছে, সিভিসি একমাত্র তাঁকেই দিয়েছে। আমি আদালতের কাছে আবেদন করছি, আমাকেও একবার রিপোর্ট দেখতে দেওয়া হোক"।
আস্থানার পক্ষে সওয়াল করা আইনজীবী মুকুল রোহতাগী দাবি করেন, তাঁকেও রিপোর্টের একটি প্রতিলিপি দেওয়া হোক"। তিনি বলেন, "এটা দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়। তাহলে রিপোর্ট জনসমক্ষে আনা হচ্ছে না কেন? আমি একটি কপি চাই, এবং রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে তার জবাবও দিতে চাই"। কিন্তু রোহতাগীর সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি মুখ্য বিচারপতি।
মুকুল রোহতাগী আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তে কিছু তথ্য জানতে পারা গিয়েছে, যা তিনি আদালতে বলতে চান, গগৈ-র বেঞ্চ এই বিষয়ে জানিয়েছে শুনানির পরবর্তী দিনে তাঁর আবেদন গৃহীত হবে।
প্রসঙ্গত, অলোক ভার্মাকে নিয়ে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ভিজিলান্স কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ভার্মার জবাব দেওয়ার জন্য তাঁকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ভিজিলান্স কমিটিকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যথার্থ গোপনীয়তার সঙ্গে ভার্মার তদন্ত রিপোর্ট খামে বন্ধ অবস্থায় পাঠাতে হবে অপসারিত গোয়েন্দা প্রধানের কাছে। সুপ্রিম কোর্টে আগামী ২০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
Read the full story in English