করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতবিক্ষত ভারত। একাধিক রাজ্যে হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি। জীবনদায়ী গ্যাসের জন্য রাজধানী দিল্লির একাধিক হাসপাতালে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন করোনা রোগীরা। এই অবস্থায় ভারতীয় রেল সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে। রেলের অক্সিজেন এক্সপ্রেস বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের জোগান দিচ্ছে। মহারাষ্ট্র থেকে উত্তরপ্রদেশ, যেখানেই অক্সিজেনের ঘাটতি সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছে এই অক্সিজেন এক্সপ্রেস।
গতকালই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রত্যেককে আশ্বস্ত করেন, অক্সিজেনের সরবরাহ বাধা পাবে না। ভারতীয় রেল, বায়ুসেনা প্রত্যেককে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। ভারতীয় রেল গ্রিন করিডর করে অক্সিজেনের ট্যাঙ্কার বোঝাই মালগাড়ি বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছে দিয়েছে।
কেন্দ্র ভারী উৎপাদন শিল্পোদ্যোগগুলিকে আবেদন করেছে, শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের জন্য হাসপাতালগুলিকে সরবরাহ করতে। সেই অনুযায়ী, বিভিন্ন ইস্পাত কারখানা থেকে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার রাজ্যগুলিতে পৌঁছে দিচ্ছে ভারতীয় রেল। এক নজরে দেখে নিন কোন কোন রাজ্যে রেলের এই অক্সিজেন এক্সপ্রেস মুশকিল আসান হিসাবে পৌঁছে গিয়েছে-
মহারাষ্ট্র- শুক্রবার বিশাখাপত্তনম থেকে তরল অক্সিজেন বোঝাই মেডিক্যাল অক্সিজেন মহারাষ্ট্রে পৌঁছয়। রাত ৮.১০ নাগাদ নাগপুরে পৌঁছয় অক্সিজেন এক্সপ্রেস। মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আক্রান্ত হচ্ছেন দৈনিক ৬৫ হাজারের বেশি। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম থেকে এই অক্সিজেন এক্সপ্রেস রওনা হয়। এক একটি ট্যাঙ্কারে রয়েছে ১৫ টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন। পূর্ব উপকূল রেলওয়ে এবং ইস্পাত নিগমের যৌথ উদ্যোগে এই অক্সিজেন এক্সপ্রেস নাগপুরে পৌঁছয়।
উত্তরপ্রদেশ- শনিবার সকালে ঝাড়খণ্ডের বোকারো ইস্পাত কারখানা থেকে তিনটি ট্যাঙ্কার বোঝাই অক্সিজেন এক্সপ্রেস লখনউয়ে এসে পৌঁছয়। প্রত্যেকটি ট্যাঙ্কারে রয়েছে ১৫ টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন। লখনউয়ের হাসপাতালগুলির অর্ধেক চাহিদা মেটাতে পারবে এই ৪৫ টন তরল অক্সিজেন।