দিল্লি হাইকোর্ট আইএনএক্স মিডিয়ায় দুর্নীতি ও টাকা নয়ছয় মামলায় তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টেক দ্বারস্থ হলেন পি চিদাম্বরম। দিল্লি হাইকোর্টের রায় বাতিলের আবেদন জানিয়ে তাঁর হয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল। এ মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় এই মামলার শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীল গৌর ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই আইএনএক্স মিডিয়ার দুটি মামলায় যে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ওই সময়ের পর থেকে বারবারই এই রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
বিচারপতি বলেছেন আগাম জামিনের দুটি আবেদনই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
এই রায় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবীণ আইনজীবী দয়ান কৃষ্ণন আদালতের কাছে আর দু-তিন দিনের রক্ষাকবচের আবেদন করলেও সে আবেদন গৃহীত হয়নি।
৩৫০০ কোটি টাকার এয়ারসেল মাক্সিস চুক্তি এবং ৩০৫ কোটি টাকার আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় প্রবীণ কংগ্রেস নেতার ভূমিকা তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজরে ছিল। এ দুটি ঘটনাই ঘটে ইউপিএ ১ আমলে, যখন চিদাম্বরম অর্থমন্ত্রী ছিলেন। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গত ২০১৭ সালের ১৫ মে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে। সেখানে বলা হয়েছিল ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা ফান্ড পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের ব্যাপারে নিয়ম মানা হয়নি। এর পর গত বছর ইডি এ ব্যাপারে আর্থিক নয়ছয়ের মামলা রুজু করে।
তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমও এই মামলায় অভিযুক্ত। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে দিল্লি হাইকোর্ট কার্তির জামিন মঞ্জুর করে।
হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে চিদাম্বরম বলেছেন, ইডি যে মামলা দায়ের করেছে, তার এফআইআরের কপি তাঁকে দেওয়া হয়নি।
গত বছরের ৩১ মে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আদালতে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় তাঁর গ্রেফতারি থেকে অন্তর্বর্তী রক্ষা কবচের আবেদন করেন। সে আবেদন গৃহীত হয়।
গত ৪ জুলাই আইএনএক্স মিডিয়ার প্রাক্তন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ার অনুমতি দেয় দিল্লির এক আদালত।
Read the Full Story in English