মোহালিতে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা দফতরে রকেট-গ্রেনেড হামলার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে পাক-মদতপুষ্ট গ্যাংস্টারের নাম উঠে আসছে। তারই মস্তিষ্কপ্রসূত এই গ্রেনেড হামলা, এমনটাই ধারণা গোয়েন্দাদের। হরবিন্দর সিং ওরফে রিন্দা নামে ওই গ্যাংস্টার বর্তমানে পাকিস্তানে আস্তানা গেঁড়েছে। আর পড়শি দেশ থেকেই ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালায় সে, সূত্র মারফত জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
মঙ্গলবার রকেট-গ্রেনেড হামলার একদিন পর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেছেন, কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, "পঞ্জাবের শান্তি-শৃঙ্খলা যে ভঙ্গ করার সাহস দেখাবে তাকে রেয়াত করা হবে না।" পুলিশ সূত্রে খবর, ২০ জনের বেশি এখনও পর্যন্ত আটক হয়েছে। তার মধ্যে আম্বালা থেকে এক সন্দেহভাজনকে জেরা করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য পরিবহণের সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পঞ্জাব পুলিশের ইন্টেলিজেন্স বিশেষ টিম বানিয়ে মূলচক্রীকে ধরার চেষ্টা করছে বলে খবর। মোহালি পুলিশ জানিয়েছে, হামলার জন্য ব্যবহৃত লঞ্চার পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু এর বেশি কিছু তারা জানায়নি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পুলিশ জানিয়েছে, এটা নিঃসন্দেহে একটি সন্ত্রাসী হামলা। সূত্রের খবর, রিন্দা সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ড্রোন মারফত ভারতের ফিরোজপুরে বিস্ফোরক পাঠিয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন সন্ত্রাসের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক
গত বৃহস্পতিবার সেই বিস্ফোরকের কনসাইনমেন্ট চার পঞ্জাবের বাসিন্দার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, যাঁরা রিন্দার সঙ্গী বলে জানা গিয়েছে। সেই বিস্ফোরক পাঠানো হচ্ছিল তেলেঙ্গানায়। রিন্দা এর আগে গত বছর ৭ নভেম্বর নওয়ানশহরে গোয়েন্দা বিভাগের দফতরে হ্যান্ড-গ্রেনেড হামলার মূলচক্রী ছিল। সেই ঘটনায় অবশ্য কেউ হতাহত হয়নি।