ভারত চাপ দিচ্ছিল দীর্ঘদিন যাবত। সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাপ আসা শুরু হয়েছিল। ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল আমেরিকা এবং রাষ্ট্রপুঞ্জও। সম্মিলিত এই চাপের কাছে অবশেষে মাথা নোয়াতে বাধ্য হল পাকিস্তান। জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাইফ সইদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল ইসলামাবাদ। শুধুমাত্র হাফিজ নয়, তার ১২ জন সঙ্গীর বিরুদ্ধেও মামলা শুরু করেছে পাক প্রশাসন।
বুধবার পাকিস্তানের সন্ত্রাসভদমন দফতর জানিয়েছে, হাফিজ এবং তাঁর দলবল বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নিয়মিত অর্থের জোগান দিয়েছে। এই উদ্দেশ্যে তারা একাধিক ট্রাস্টকে ব্যবহার করেছে। এই কারণেই ওদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ-সহ একাধিক আর্ন্তজাতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে হাফিজ ইস্যুতে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আইএমএফ এবং এফআইটিএফের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য বন্ধ না করলে পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়তে হবে। পাকিস্তানের সরকার যে বিপুল অঙ্কের ঋণের জন্য আবেদন করেছে, তাও নামঞ্জুর করা হবে।
পাকিস্তান সরকার সূত্রের খবর, লাহোর, মুলতান ও গুজরানওয়ালা এলাকাতেই প্রধানত সক্রিয় ছিল হাফিজের দলবল। ওই এলাকাগুলি থেকেই বিপুল পরিমাণ অর্থ একাধিক ট্রাস্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করে তুলে দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির হাতে। যে ট্রাস্টগুলির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রধান হল- ‘আল-আনফাল’, ‘দাওয়াত-উল-ইরশাদ’ এবং ‘মুয়াজ-বিন-জবল’। পাশাপাশি, পাক প্রশাসন জানিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার মতো সংগঠনকেও নিয়মিত মদত দিয়েছে হাফিজ। ওই রকম একাধিক সংগঠনের বিরুদ্ধেও পৃথক তদন্ত শুরু হয়েছে।