ঘরে-বাইরে 'হিংসার সংস্কতি'কে উস্কানি দিচ্ছে পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে এভাবেই তুলোধনা করলেন ভারতের পক্ষে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি পৌলমী ত্রিপাঠী। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার থেকে শুরু করে সেদেশে ক্রমাগত বেড়ে ওঠা মানবাধিকার লংঘনের মতো ঘটনা নিয়েও মুখ খোলেন এই দাপুটে ভারতীয় কূটনীতিক।
অযোধ্যার রাম মন্দির ইস্যু নিয়ে সরব পাকিস্তান। এই ইস্যুতে বিশ্ব আঙিনায় বারংবারই ভারতকে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা করেছে ইসলামাবাদ। এমনকি হেট স্পিচ ইস্যুতেও ভারতের বিরুদ্ধে অপবাদের তকমা সেঁটে দিতে মরিয়া ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পাক প্রশাসন। এর বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে মুখ খুলেছেন ভারতীয় কূটনীতিক পৌলমী ত্রিপাঠী।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় 'শান্তির সংস্কৃতি' বিষয়ক আলোচনায় পৌলমী ত্রিপাঠী বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনক। হেট স্পিচ ইস্যুতে ভারত বিরোধী ঘৃণ্য অভিযোগ তুলে পাকিস্তান আরও একবার রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চকে ব্যবহার করার চেষ্টা চালাল। আমরা একবার তারই সাক্ষী থাকলাম। আর এটা হল এমন সময় যখন পাকিস্তান ঘরে বাইরে হিংসার সংস্কৃতিতে উস্কানি দিচ্ছে।'
রাষ্ট্রসংঘে পাক দূত মুনীর আক্রাম ভারতের বিরুদ্ধে জম্মু-কাশ্মীর, বাবরি মসজিদ, রামমন্দির ইস্যুতে সরব হন। তারপরই মুখ খুলেছেন পৌলমী। সুর চড়িয়ে বলেছেন, পাকিস্তান যাতে নিজের ঘরের সংখ্যালঘুদের অধিকারের দিকে আগে নজর দিক। তাঁর কথায়, 'পাকিস্তানের মানবাধিকার রক্ষাকারী রেকর্ড এবং ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অবিরাম উদ্বেগের কারণ।'
পাকিস্তানে সংখ্যালঘু বলতে রয়েছে হিন্দু, খ্রিস্টান ও শিখরা। আর সেই ধর্মের মহিলাদের ক্রমাগত নিশানা করে অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পৌলমী ত্রিপাঠী। সাফ বলেন, 'পাকিস্তানের অন্দরে এই সংখ্যালঘু মহিলাদের জোর করে অপহরণ, ধর্মান্তরকরণ চলছে। ধর্ষণও রোজকার ঘটনা। শেষে যারা অপহরণ করছে তাদারে সঙ্গেই ওই সংখ্যালঘু মহিলাদের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মহামারী এই বিষয়টি আরও বাড়িয়ে তুলেছে।'
নিজেদের দেশের লজ্জানক পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই পাক প্রতিনিধি 'শান্তির সংস্কৃতি' বিষয়ক আলোচনার মঞ্চে এই আলোচনা করছেন বলে দাবি করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতীয় দূত। তিনি জানান, ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগে ইসলামাবাদের নিজেদের সাংবিধান প্রদত্ত দেশের সমানাধিকার, সংখ্যালধুদের সম্মান-অধিকারের দিকটা খতিয়ে দেখুক। ভারতে সংখ্যালঘু-মহিলাদের অধিকার সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত বলেও সুর চড়িয়েছেন পৌলমী।
শান্তির সংস্কৃতি বলতে কেবল যুদ্ধের অনুপস্থিতিকেই বোঝায় না, বরং আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য মেটানোরও প্রবণতা তৈরি করে দেয় বলে দাবি করেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় দূত।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন