Advertisment

নেই বৈধ পাসপোর্ট, পাঁচ বছরের জেল পাকিস্তানি মহিলার

পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা ফাইজাকে পাঁচ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল জম্মু হাইকোর্ট। ছাড়া পেলেন শেহরাজ ও গুলাম আলি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল কোর্ট

পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী ২৭ বছরের ফইজা বেগমকে সোমবার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা শোনাল জম্মু হাইকোর্ট। ২০০৫ সালে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন শেহরাজ আহমেদ ও ফইজা বেগম, ২০১২ সালে তাঁরা জম্মু-কাশ্মীর সরকারের পুনর্বাসন নীতির আওতায় তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে নেপাল বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। শেহরাজকে বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭ অনুযায়ী গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisment

ফরেনার্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০০৪-এর অনুচ্ছেদ ১৪-এ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো বিদেশী নাগরিক ভারতের স্পর্শকাতর ও সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশাধিকার পাবেন না। এই ধারা লঙ্ঘন করার জন্য সোমবার জম্মু হাইকোর্টের প্রধান দায়েরা বিচারপতি বিনোদ চ্যাটার্জি কাউল ফইজা বেগমকে তিন বছরের জেল হেফাজত, কোনো বৈধ পাসপোর্ট ছাড়া প্রবেশ করে ভারতীয় পাসপোর্ট অ্যাক্ট লঙ্ঘন করার শাস্তিস্বরূপ আরও দু বছরের জেল হেফাজত, এবং সর্বমোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন।

আরো পড়ুন: জঙ্গিদের মূলস্রোতে ফেরাতে চাকরি-মাসিক ভাতার প্রস্তাব জম্মু-কাশ্মীর সরকারের

মাওবাদী দমন শাখার ডেপুটি জেনারেল অফ পুলিশ জানান, সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১২ সালে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর থেকে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র চালনা শিখে নিয়ে নেপাল বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে গুলাম আলি ও শেহরাজ আহমেদ নামের দুই ব্যাক্তি। খবর পাওয়ার পরেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা ফইজাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেও শেহরাজ ও গুলাম আলিকে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমানের অভাবে মুক্তি দেয় আদালত।

২০১০ সালে তখনকার মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সরকার একটি পুনর্বাসন নীতি চালু করে, ১৯৮৯ থেকে ২০১০ অবধি পাকিস্তান থেকে আসা কাশ্মীরি যোদ্ধাদের জন্য, যেসব যোদ্ধারা বন্দুকের বদলে একটি শান্তিপূর্ণ জীবন ও পারিবারিক জীবন বেছে নিতে চলেছেন।

Read the full article in English

jammu and kashmir pakistan Govt of India
Advertisment